• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
গানের কনা

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

গানের কনা

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ এপ্রিল ২০২১

গানের পাখি কনা। গান নিয়ে যার ধ্যানজ্ঞান। সম্প্রতি নতুন একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিলেন কনা। সঙ্গে ছিলেন আসিফ। ‘সকাল সন্ধ্যা রাত্রি কাটে/তোমার নামে নামে, ঘুমের আকাশ মধ্যরাতে স্বপ্ন পাঠায় খামে..’-এমন কাব্যিকতার ছোঁয়ায় গানটি লিখেছেন রণক ইকরাম। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন জে কে মজলিশ। এই নতুন গান সম্পর্কে কনা বলেন, ‘গাইতে গিয়ে গানটি দারুণ উপভোগ করেছি। আশা করছি শ্রোতারাও নিরাশ হবেন না।’

গানের পাশাপাশি করোনার এই সময়ে আতঙ্কিত মানুষদের সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। যে কোনো দুর্যোগে গান মানুষকে শক্তি ও সাহস জোগায়। এই কথার সঙ্গে একমত কনাও। বলেন, ‘বিভিন্ন দুর্যোগ, বৈরী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুগে যুগে গান মানুষের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে- এটা সত্যি। কিন্তু আমি ঠিক জানি না এই করোনাভাইরাসের মহামারীতে তা কতটা কাজে দেবে। যদিও অনেকে গানে, কথায় মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু কতদিন এটা সম্ভব হবে তা বলা কঠিন। আমরা এখন অনিশ্চিত এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ’

মধ্যে আতঙ্ক কমে গেলেও করোনা আবার চেপে বসেছে। কখনো ভাবিনি আবারো এমন একটা সময়ের মুখোমুখি হব আমরা। এখনকার অবস্থা আরো ভয়াবহ। তার পরও আশায় বুক বেঁধে আছি, এই দুর্যোগ একদিন কেটে যাবে সেই বিশ্বাস নিয়ে।’ সামনে পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছর উপলক্ষে প্রতিবছর কিছু না কিছু আয়োজন করেন। এবার তেমন কিছু করার সুযোগ আছে কি-এমন প্রশ্নের জবাবে কনা বলেন, ‘অনেক কিছুরই পরিকল্পনা আছে। কিন্তু দেশে এখন লকডাউন। পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপের দিকে। তাই এই পহেলা বৈশাখে শুধু আমি না আমরা এবার বর্ষবরণে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারব কি না অনিশ্চিত। এ সময়ে শুধু মানুষকে সচেতন করলে হবে না, যারা খেটে খাওয়া মানুষ, দিন এসে দিন খায়, তাদের কথাও ভাবতে হবে। তাই সাহায্যের হাত সবাইকে বাড়িয়ে দিতে হবে।’ কনা পারিবারিক পরিমণ্ডলে আরো দুটি নামে পরিচিত। বাবা-মায়ের কাছে কনা নামটি কনুতে রূপান্তরিত হলেও বাচ্চাদের কাছে তার নামটি আরো মজার ‘কনামনা’। মাত্র চার বছর বয়সেই গানের সঙ্গে পরিচিতি ঘটে তাঁর। মিরপুরের টাইনি টটস স্কুলে ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়েই কনার স্কুলজীবনের হাতেখড়ি। শিক্ষাজীবনে কনার কাছে গণিত বিষয়টা ছিল সাক্ষাৎ যমের মতো। সাময়িক পরীক্ষাগুলোতে অঙ্কের ফলাফল ১৭-১৮ নম্বরে ঘোরাঘুরি করলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় সেটা ৩৩-এ পৌঁছাত খুব কষ্ট করে। আর সে ৩৩ নম্বরকেই তার কাছে নাকি ফার্স্টক্লাস নম্বর বলে মনে হতো। পড়াশোনায় গণিতের প্রতি ভয়াবহ রকমের ভীতি থাকলেও কনার কাছে জ্যামিতি ছিল খুব মজার ও সহজ একটি বিষয়। আর তাই হয়তো নিজের একটি অ্যালবামের নামও রেখেছেন জ্যামিতিক ভালোবাসা! কনার হাতেগোনা কয়েকজন প্রিয় শিক্ষকের একজন হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম।

একসময় একটি কোচিং সেন্টারে ইংরেজি ও বাংলার শিক্ষক মোশাররফ করিম কনার কাছে ইংরেজি বিষয়টাকে করে তুলেছেন সহজবোধ্য। ছোটবেলায় স্থির করা জীবনের লক্ষ্যটা বড় হতে হতে অনেকের ক্ষেত্রেই পরিবর্তিত হয়ে যায়, কিন্তু কনা একটু ব্যতিক্রম। তার আজীবনের স্বপ্ন একজন ‘রুনা লায়লা’ হওয়ার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads