• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
থিয়েটার আমাকে ভীষণ আনন্দ দেয়

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

থিয়েটার আমাকে ভীষণ আনন্দ দেয়

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ এপ্রিল ২০২১

হৃদি হক। একাধারে অভিনেত্রী, নির্দেশক ও পরিচালক। মঞ্চের পাশাপাশি ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। পরিচালনা করছেন অনুদানের ছবি ‘১৯৭১ সেইসব দিন’। ইতোমধ্যে এ ছবির শুটিং শুরু করেছেন। এ বিষয়ে হূদি বলেন, ‘এটি যেহেতু পিরিয়ডিক ছবি, তাই কাজটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তুলে ধরার জন্য অনেক চরিত্র থাকবে এখানে। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দুটি পরিবারের গল্প নিয়ে এটি নির্মিত হচ্ছে। ওই পরিবার দুটির জার্নিতে পুরো বাংলাদেশকে আমরা দেখতে পাই। নানা সীমাবদ্ধতা নিয়েও কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সম্প্রতি একটি লটের শুটিং ঢাকার বাইরে করেছি। গল্পটি বিভিন্ন লোকেশনে ঘুরপাক খায়, তাই একটানা দৃশ্যধারণ করে এর কাজ শেষ করা কঠিন। আমরা প্রি-প্রোডাকশনে যে ধরনের প্রতিবন্ধকতার কথা ভেবেছিলাম, দৃশ্যধারণ করতে গিয়ে এরই মুখোমুখি হয়েছি। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এত উন্নয়ন হয়েছে যে, কোনো ফ্রেম ধরাই কঠিন। ল্যাম্পপোস্ট থেকে শুরু করে সবকিছু বদলে গেছে। ১৯৭১ সালকে উপস্থাপন করতে গিয়ে আর্টের ওপর গুরুত্ব দিতে হয়েছে। আর্ট ইউনিট অনেক পরিশ্রম করছে।’

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করার আগ্রহ অনেক আগে থেকেই হূদি হকের। ব্যক্তিগতভাবে অনেক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে তার। থিয়েটার ও টেলিভিশনের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাজ করেছেন প্রচুর। অনেক বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণাও করছেন হূদি হক। এ সমস্ত কারণে মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে ছবি নির্মাণ করচেন হূদি হক।

‘আমি’ নামে একটি ধারাবাহিক নির্মাণের কথা থাকলেও করোনার কারণে শুটিং শুরু সম্ভব হয়নি বলে জানান হূদি হক। এ কারণে সব কাজ আপাতত বন্ধ। সিনেমার কাজ শেষ হলে ও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ শুরু করবেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করেছে বাংলাদেশ। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অর্জন সম্পর্কে হূদি হক বলেন, ‘দেখুন, অর্থনৈতিক ও সংস্কৃতির মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছি, যেখানে সংস্কৃতিকর্মীদেরও বড় ভূমিকা ছিল। তার পরও মাঝে সময়টায় অনেক কিছু ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক আদর্শ না থাকলে কেউ সচেতন নাগরিক হতে পারে না। সংস্কৃতিকর্মীরা তো আরো সচেতন। তাই তো তারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাদের সেটা ভীষণভাবে ধারণ করতে হবে। আমরা সত্যিকারের সংস্কৃতিকর্মী হয়ে উঠেতে পারছি না। কোথায় জানি গভীরতার ঘাটতি দেখি। এই গভীরতা বাড়লেই দেশকে নিয়ে আরো বেশি ভাবতে পারব। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা অনেক। সবাইকে সেটা সুন্দর করে প্রকাশ করতে হবে।’

করোনাকালের মধ্যে থিয়েটার চালু হলেও আবার লকডাউন থাকাতে বন্ধ হয়ে গেছে সব কাজ। থিয়েটারের সংকট ও সম্ভাবনা সম্পর্কে এই অভিনেত্রী-নিদের্শক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, থিয়েটারে আমাদের একটা ভালো অবস্থান আছে। ভাবনা ও প্রকাশের জায়গায় আমরা অনেক এগিয়ে, কিন্তু মঞ্চ সংকটের কারণে দর্শক তৈরি করতে পারছি না। তবে আমাদের দলগুলোর ছোটখাটো কিছু সমস্যা আছে। পাশাপাশি কারিগরি অনেক সমস্যা আছে।’

এ পর্যায়ে নিজেকে কোথায় খুঁজে পান? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি যখন মঞ্চে থাকি বা মঞ্চে গিয়ে দাঁড়াই কিংবা মহড়া কক্ষে যখন যাই, তখন যে আনন্দ পাই এই আনন্দ আমি অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা করতে পারি না। থিয়েটার আমাকে ভীষণ আনন্দ দেয়। থিয়েটারের প্রতিটা মুহূর্তই আনন্দের।’

অভিনেতা লিটু আনামের সঙ্গে সুখী দাম্পত্যজীবন পার করছেন হূদি। একটা সময় লিটুকে পর্দায় নিয়মিত দেখা যেত। কিন্তু এখন নেই কেন? এ প্রসঙ্গে হূদি বলেন, ‘সহধর্মিণীর বাইরে আমি তার সহকর্মী। তাই দুই দিক থেকে আমি তাকে বলার সুযোগ রাখি। আমি তাকে কাজে ফেরার জন্যও বলি। সে-ও আবার ফিরবে। ভালো কোনো কিছু দিয়েই তার ফেরা হবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads