• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

শিপন-টয়ার ‘তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

শুকনো মৌসুমে যে তেপান্তরের মাঠের সবুজ ধান ক্ষেতের আল ধরে কাকতাড়ুয়ার পিছে ছুটে বেড়াতো শফিক আর আয়েশা। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে ডুবে সে তেপান্তরের মাঠ জলে টইটম্বুর হলে শাপলা ফুলের গয়না পরিয়ে জামাই বৌ বৌ খেলতো তারা। পুতুল খেলার বয়স থেকে যৌবন কালে এসেও তারা দু'জন জামাই বৌ বৌ খেলতো। তখন থেকে আয়েশা স্বপ্ন দেখে কোন একদিন শফিকের হাত ধরে ভালোবেসে সে তেপান্তরের মাঠ পেরোবে।

এমনই ভালোবাসার আকুতি ভরা ভিন্ন ধাঁচের গল্পের বৈচিত্র নিয়ে তরুণ নির্মাতা সীমান্ত সজলের গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে’। গল্পের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, শিপন মিত্র, আবুল হায়াত ও দিলারা জামান।

অভিনেত্রী টয়া বলেন, নির্মাতা সীমান্ত সজলের সাথে এটা আমার প্রথম কাজ। হোয়াটসঅ্যাপে গল্প পড়েই আমার ভালো লেগে যায়। ভালো লাগা থেকেই ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করার ইচ্ছা নিয়ে কাজটা করা। তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে গল্পের সময়কে নির্মাতা দুই ভাগে ভাগ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের আগের গল্প আর দেশ স্বাধীনের পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সময়ের গল্প। আমি দেশ স্বাধীনের আগে ষাট দশকের প্রেক্ষাপটে কাজ করেছি। গল্পটা আগে থেকেই বলে দিতে চাই না। চমক থাকুক দর্শকদের জন্য। অনেকদিন পরে একটা ভালো স্ক্রিপ্টে কাজ করে তৃপ্তি পেলাম। আশা করি দর্শকদের অনেক ভালো লাগবে।

অভিনেতা শিপন মিত্র বলেন, নির্মাতা সীমান্ত সজলের সাথে এটা আমার প্রথম কাজ। মোবাইলে গল্পটা শুনে আমি অবাক। এতো ইউনিক এতো টাচি একটা গল্প। স্ক্রিপ্ট পড়ার আগে ডিরেক্টরের মুখে গল্পটা শুনে সাথে সাথে কাজটা করতে আমি রাজি হয়ে যাই। স্ক্রিপ্ট পাওয়ার পর থেকে শুটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি ব্যক্তি শিপন মিত্র ছিলাম না, আমি ছিলাম গল্পের চরিত্র শফিক।

নির্মাতা সীমান্ত সজল বলেন, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে আমার অনেক যত্ন, অনেক ভালোলাগা, ভালোবাসার কাজ। স্ক্রিপ্ট লিখতে গিয়ে রাতে আমি যেমন কেঁদেছি, শুটিং করতে গিয়েও মনিটরে বসে আমি কেঁদেছি। আশা করি টেলিফিল্মটি দেখতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি দর্শকও চোখের জলে ভাসবেন। টেলিফিল্ম ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা চ্যানেল আই’য়ে দেখা যাবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads