• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
মুনাফায় ফিরেছে রবি

ছবি : সংগৃহীত

টেলিযোগাযোগ

মুনাফায় ফিরেছে রবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

দুই বছর পর আবারো মুনাফার মুখ দেখল মোবাইল অপারেটর রবি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৪০০ কোটি টাকা মুনাফা করেছিল অপারেটরটি। তবে ২০১৬ সালে অপর মোবাইল অপারেটর এয়ারটেল বাংলাদেশের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পর গত দু’বছর মুনাফা করতে পারেনি রবি।

আর্থিক প্রতিবেদন সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে রবি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ২১৫ কোটি টাকা মুনাফা করতে পেরেছে অপারেটরটি। মূলত টাওয়ার কোম্পানি ইডটকোর শেয়ার বিক্রি বাবদ বড় অঙ্কের আয়ের কারণেই মুনাফা করা সম্ভব হয়েছে। নেটওয়ার্ক কোম্পানিটির ২০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিল রবি। এতে তাদের আয় বেড়েছে। অন্য খাত থেকে সামগ্রিক রাজস্ব আগের বছরের তুলনায় তেমন একটা না বাড়লেও ২০১৮ সালে ডাটা থেকে আয় অনেক বেড়েছে।

রবি জানিয়েছে, ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের ১ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকাসহ ২০১৮ সালে মোট আয়ের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিক থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আয় ৫ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।

২০১৮ সালে তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চতুর্থ প্রান্তিকে ভয়েস কল থেকে রবির আয় ১ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। তবে ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ভয়েস থেকে আয় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ডাটা থেকে আয় বেড়েছে অপারেটরটির। ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ডাটা থেকে আয় ১৪ দশমকি ৯ শতাংশ এবং একই বছরের আগের প্রান্তিকের তুলনায় আয় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সব মিলিয়ে ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ২৮ দশমিক ১ শতাংশ মার্জিনসহ রবির ইবিআইটিডিএ দাঁড়িয়েছে ৪৯৬ কোটি টাকা যা একই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।

২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের ৬৭৫ কোটি টাকাসহ পুরো বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে মোট ৩ হাজার ৭৯ কোটি টাকা জমা দিয়েছে রবি। এ নিয়ে ১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে মোট জমার পরিমাণ ২৩ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুটি ব্র্যান্ড একসঙ্গে পরিচালনা করার যে কৌশল আমরা হাতে নিয়েছিলাম তা সফল হওয়ায় ব্র্যান্ডের অবস্থান নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। ৪.৫জি নেটওয়ার্কের দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে যেসব এলাকায় আমরা ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম সেসব এলাকায়ও লক্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছি আমরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads