• বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জৈষ্ঠ ১৪২৮
গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে

ছবি : সংগৃহীত

টেলিযোগাযোগ

গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ মার্চ ২০১৯

তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধর বা এসএমপি ঘোষিত হওয়ার পর শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে কয়েকটি বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এর একটি ছিল কোনো মাধ্যমে কোনো মার্কেট কমিউনিকেশন করা যাবে না।

তবে শর্ত শিথিল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল অপারেটরটি। ধারণা করা হচ্ছিল বিজ্ঞাপন প্রচারের যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা কিছুটা শিথিল করা হতে পারে। তবে এ শর্তে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের বিজ্ঞাপন প্রচারে বাধা থেকে গেল।

বিটিআরসি আগের শর্তের সঙ্গে একটি নতুন লাইন জুড়ে দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব ওয়েবসাইটে সব ধরনের মার্কেট কমিউনিকেশন করতে পারবে এবং একই সঙ্গে সব সেবার বিস্তারিত তথ্য স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে।

এর আগে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব দেশের মিডিয়াশিল্পসহ অনেক খাতের ওপর পড়বে। বিটিআরসিও এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে। কিন্তু সম্প্রতি বিটিআরসি যখন ধারাটি সংশোধন করে চিঠি দেয়, তখন দেখা যায় আগের শর্তটিকেই একটু বিস্তৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে এসএমপি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গ্রাহক ও রাজস্ব দুই ক্যাটাগরিতেই এসএমপিতে পড়ে অপারেটরটি। এসএমপি ঘোষিত হতে প্রবিধানমালার যে ৪০ শতাংশ বাজার শেয়ারের সীমা রয়েছে, সেখানে এই দুই ক্যাটাগরিতেই জিপিকে ফেলা হয়। একই মাসে এসএমপি হিসেবে অপারেটরটিকে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।

এসএমপি হিসেবে গ্রামীণফোনকে যে চার শর্ত দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আরো আছে এমএনপিতে আসা গ্রাহক আটকে রাখার সীমা কমানো, করপোরেট সেবার ক্ষেত্রে এক্সক্লুসিভিটি বা একক অধিকার না রাখতে দেওয়া ও কল ড্রপের হার কমিয়ে দেওয়া। এই চারটি শর্ত ১ মার্চ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। এই চার শর্তের বাইরেও বিটিআরসি আরো এগারোটি বিষয় ঠিক করেছে, যেখান থেকে যেকোনো সময় গ্রামীণফোনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপিত হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads