• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

বিশ্ব

মানবিক সংকট নিরসনে ব্যবস্থা চায় মুসলিম দেশগুলো

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২০ ডিসেম্বর ২০২১

আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম দেশগুলো। গতকাল রোববার পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ইসলামী সহযোগী সংস্থার (ওআইসি) বিশেষ এক বৈঠক থেকে এ আহ্বান এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানে লাখ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ায় দেশটির মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। কিন্তু আগস্টে ক্ষমতা নেওয়া তালেবান সরকারকে সহযোগিতায় পশ্চিমা দেশগুলোর অনীহার কারণে মারাত্মক এ সংকট মোকাবিলায়ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমন্বিত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী বলেছেন, আফগানিস্তানের জন্য সহযোগিতার বন্দোবস্ত করতেই ওআইসির বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। ‘আফগানিস্তানে মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের প্রভাব এর সীমানার বাইরেও পড়বে- বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তুর দেশত্যাগ, অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার মাধ্যমে,’ ইমেইলে এমনটাই বলেছেন কোরেশী। দুই দিনের এই বৈঠকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের মতো দেশের কর্মকর্তারাও আছেন। তালেবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও এ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন, যদিও তাদের সরকারকে এখন পর্যন্ত কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। অনাহারের ঝুঁকিতে থাকা ২ কোটিরও বেশি মানুষকে খাওয়াতে এবং বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে তালেবান কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরেই আন্তর্জাতিক সম্প্র্রদায়ের কাছে সাহায্য চেয়ে আসছেন। সামান্য কয়েকটি দেশ ও দাতা সংস্থা সাহায্য পাঠানো শুরু করলেও পতনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থা তাদের কাজকেও জটিল করে তুলেছে। তাৎক্ষণিক সহায়তা ছাড়াও আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতেও সহায়তা দরকার। এর অনেকটাই নির্ভর করছে ওয়াশিংটন তালেবান নেতাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা ওঠাবে কিনা, তার ওপর। ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান ও সরকারই তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি লেনদেনে অনাগ্রহী। দুই দশক পর আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরা তালেবান আগের সরকারগুলোর কর্মীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তানকে অন্য দেশে হামলা চালানোর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ না দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads