• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিশ্ব

থার্টিফার্স্ট উদ্যাপন করল বিশ্ববাসী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০২২

করোনা মহামারির মধ্যেও থার্টিফার্স্ট উদ্যাপন করেছে গোটা বিশ্ব। তবে ওমিক্রনের কারণে ইংরেজি নববর্ষ ঘিরে সব দেশেই আয়োজন খানিকটা কম ছিল। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে হলেও আরো একটি বছর শুরু করল বিশ্ববাসী।

ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মানুষ রঙ্গিন আতশবাজি আর আলোকচ্ছটায় নতুন বছরকে স্বাগত জানায় তারা।

সবার আগে থার্টিফার্স্ট উদযাপন করে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে। আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী ২০২২ সালকে সবার আগে স্বাগত জানানোর সুযোগ পায় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডবাসী। আতশবাজি আর আলোকচ্ছটায় রাতের আকাশকে সাজিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে সেখানকার মানুষ।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনি একটি আতশবাজি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়, যা পুরো শহরটিকেই আলোকিত করছে। আগেই বলা হয়েছিল, রাতে সিডনির আকাশে ছয় টনের বেশি আতশবাজির আলোয় আলোকিত হবে। তবে ওমিক্রনের জেরে সবকিছুই করা হচ্ছে সীমিত পরিসরে।

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে ইংরেজি নববর্ষ-২০২২ সালকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী নেই তেমন একটা আয়োজন। অনেকটা নিরানন্দের মধ্য দিয়ে আরো একটি বছর শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ।

ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করেছে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। রাত বারোটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় শহরবাসী। এ সময় আতশবাজির মাধ্যমে ২০২১ সালকে বিদায় জানিয়ে ২০২২ সালকে স্বাগত জানানো হয়।

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কলকাতার প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। পুরো শহরবাসী প্রহর গুনছিল নতুন বর্ষের। প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। শিশু-কিশোর থেকে তরুণ-তরুণী সবাই বর্ষবরণের আনন্দে মেতে ওঠে।

বর্ষবরণ উপলক্ষে সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ভিড় দেখা গেছে। এতে শামিল হয়েছেন সব ধর্মের মানুষ। নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রিট, চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, শপিংমল, সিনেমা হলে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে সকাল থেকেই, বেলা যত বাড়ছে শহরের রাজপথে ভিড়ও তত বাড়ছে। এরই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বঙ্গে। প্রতিদিন সংক্রামিত হচ্ছেন প্রচুর মানুষ।

প্রশাসন থেকে বার বার মাস্ক ব্যবহারের কথা থাকলেও সেকথা শুনছেন না অনেকেই। এখন দেখার বিষয়-বর্ষবরণের রাতে প্রশাসন কতটা কড়া হাতে মোকাবিলা করতে পারে নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়।

এছাড়া মধ্য প্রাচ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে নানা আয়োজনে পালন করা হয় ইংরেজি নববর্ষের এই বিশেষ দিনটিকে। তাদের সবার প্রার্থনা ছিল, যেন পৃথিবী থেকে অতি দ্রুত করোনার অতিমারি বিদায় নেয়। সবার জন্য শুভ হয় নতুন বছর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads