• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হচ্ছে চীনের আরেক রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০২২

গুপ্তচরবৃত্তি এবং ‘গুরুতর’ জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে এবার চীনের টেলিকম কোম্পানি চায়না ইউনিকমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিষেধাজ্ঞার ফলে ৬০ দিনের মধ্যে কোম্পানিটিকে যুক্তরাষ্ট্রে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। সর্বসম্মতিক্রমে ভোটে চায়না ইউনিকমের মার্কিন ব্যবসা কার্যক্রমের অনুমোদন বাতিলের পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন্স কমিশন (এফসিসি)।

অন্যদিকে, গত বছরের অক্টোবরে বাতিল হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা অনুমোদন সম্প্রতি ফিরে পেয়েছে আরেকটি চীনা কোম্পানি চায়না টেলিকম।

এফসিসি’র চেয়ারওমেন জেসিকা রোজেনওর্সেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রচুর প্রমাণ রয়েছে এবং এসবের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের ফলে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো আমাদের টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের জন্য সত্যিই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বিবিসিকে ই-মেইলে দেওয়া এক বিবৃতিতে চায়না ইউনিকম বলেছে, ‘দুই দশক ধরে সুনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আইন এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সবকিছু মেনে গ্রাহকদের টেলিকমিউনিকেশন সেবা দিয়ে আসছে।’

তবে, ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের টেলিকমসহ প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো সন্দেহের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। নানাবিধ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হচ্ছে চীনের রাষ্ট্রীয় এবং চীনা নাগরিকদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গত নভেম্বরে সাক্ষরিত নতুন আইন অনুযায়ী নিরাপত্তা হুমকি বিবেচনার আওতায় পড়া কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে টেলিকম যন্ত্রপাতি কেনা যাবে না। এর ফলে হুয়াওয়ে, জেডটিই এবং অন্য তিনটি চীনা কোম্পানির যন্ত্রপাতি যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না। নভেম্বরেই আরও ১২টি কোম্পানিকে এ তালিকায় যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে ২০১৯ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিকম কোম্পানি চায়না মোবাইলের যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা কার্যক্রমের অনুমোদন বাতিল করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রশাসন বলছে, কিছু চীনা কোম্পানি তাদের দেশের সেনাবাহিনীর কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রোগ্রামে সহযোগিতা করছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads