১৬ ফেব্রুয়ারিকে 'ডে অফ ইউনিটি' হিসেবে ঘোষণা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই দিনই দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া।
কিয়েভের কুটনীতিকরা জানিয়েছেন, হামলার ধারণার সঙ্গে একমত না হলেও এই দিন সব নাগরিককে দেশটির জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
এদিকে স্যাটেলাইট ইমেজের বরাত দিয়ে পেন্টাগন জানিয়েছে, সীমান্তে সমরাস্ত্র বাড়ানোর পাশপাশি ইউক্রেন সীমান্তের দিকে আরও এগিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে এক ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, চুক্তি বা আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা কমানোর সুযোগ রয়েছে রাশিয়ার। এরইমধ্যে কূটনীতিকদের সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
আক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যাওয়ায় নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা, নেদারল্যান্ডস,লাটভিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া।
ইউক্রেনকে ঘিরে সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই বেলারুশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে টানা ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। অত্যাধুনিক সব সামরিক সরঞ্জামাদির পাশাপাশি দক্ষ সেনাদের নিয়ে যৌথ এই মহড়াকে কেন্দ্র করে স্নায়ুযুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত বেলারুশে সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া বলছে ন্যাটো।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকেই আজভ ও কৃষ্ণ সাগর নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বিরোধ এখনও চলছে।