অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ে রাজাপাকসে। শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন জোটে ভাঙন দেখা দেওয়ার কারণে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ে রাজাপাকসের নেতৃত্বাধীন জোট।
খবর পাওয়া গেছে, ৪২ জন আইনপ্রণেতা জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলেন শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি), শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি), সিলোন ওয়ার্কার্স কংগ্রেসের (সিডব্লিউসি) সদস্য। জোট থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের কথাও জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, তার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী দলগুলো। দেশের চলমান সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ায় বর্তমান সরকার প্রধানের পদত্যাগ চাইছেন তারা।
এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বামপন্থী পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (জেভিপি) ও সামাগি জনা বালাওয়েগা (এসজেবি) দল দুটি। দলের সদস্যরা গোটাবায়ে রাজাপাকসে এবং তার একসময়ের জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী পরিবারের অন্যদেরও অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এসজিবির প্রধান রঞ্জিত মাদুমা বান্দারা বলেন, এই দেশের মানুষ চায় গোটাবায়ে এবং পুরো রাজাপাকসে পরিবার চলে যাক এবং আমরা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে পারি না এবং আমরা দুর্নীতিবাজদের সাথে কাজ করতে পারি না। ২২৫ সদস্য বিশিষ্ট পার্লামেন্টে এসজিবির সদস্য রয়েছেন ৫৪ জন।
অর্থনৈতিকভাবে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এমন অবস্থায় দেশটিতে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ে রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। তবে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ে রাজাপাকসে পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ে রাজাপাকসে তার দলের শীর্ষ নেতাদের সোমবার (৪ এপ্রিল) জানান যে, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সংসদ অধিবেশনে কোনো দল যদি ১১৩টি সিটের সমর্থন পায় তখনই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত তিনি।
সূত্র: ডেইলি মিরর