• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

ফ্রান্সের দেওয়া সম্মাননা ফিরিয়ে দিলেন বাশার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ এপ্রিল ২০১৮

ফ্রান্স সরকারের দেওয়া মর্যাদাপূর্ণ লেজিওঁ দ’নর খেতাব ফিরিয়ে দিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ২০০১ সালে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকের কাছ থেকে ওই সম্মাননা নিয়েছিলেন তিনি। গত সপ্তাহের শনিবার প্রথম প্রহরে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় ফ্রান্সের অংশগ্রহণের প্রতিবাদস্বরূপ বাশার এ সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

সম্মাননা ফিরিয়ে দেওয়ার সময় বাশার বলেছেন, তিনি এমন কোনো দেশের পুরস্কার পরবেন না, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ‘দাস’। এর আগে ফরাসি সরকার ঘোষণা করে, আসাদকে দেওয়া খেতাব প্রত্যাহারে ‘আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম’ শুরু হয়েছে। এমন ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নিজেই তার সম্মাননা ফেরত দিলেন। বাবার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় বসেই ফ্রেঞ্চ সরকারের কাছ থেকে লেজিওঁ দ’নরের সর্বোচ্চ পদক ‘গ্র্যান্ড ক্রসে’ ভূষিত হয়েছিলেন বাশার।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে দেওয়া লেজিওঁ দ’নরের গ্র্যান্ড ক্রস সম্মাননা ফরাসি রিপাবলিককে ফিরিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে সহায়তা করা যুক্তরাষ্ট্রের অনুসারী ও দাস একটি দেশের কাছ থেকে পাওয়া সম্মাননা পরা প্রেসিডেন্টের জন্য মর্যাদার হতে পারে না।

দামেস্কের রোমানিয়ান দূতাবাসের মাধ্যমে বাশারকে দেওয়া ওই সম্মাননা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফ্রান্সের জন্য অবদান, মানবাধিকার সুরক্ষা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখার পুরস্কার হিসেবে ফরাসি সরকার প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই লেজিওঁ দ’নর দেয়। 

সিরীয় বাহিনীর রাসায়নিক হামলায় ৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছে বলে দাবি পশ্চিমা বিভিন্ন সংস্থার। বাশার ও তার মিত্র রাশিয়া শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। হামলার অজুহাত খুঁজতে পশ্চিমারাই রাসায়নিক হামলার নাটক সাজিয়েছে বলেও পাল্টা অভিযোগ তাদের। আসাদবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহর দৌমায় সন্দেহভাজন রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ১৪ এপ্রিল ভোরে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের বিমানগুলো সিরিয়ার অন্তত তিনটি স্থাপনা লক্ষ করে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।

৯/১১’র হামলায় জড়িত জঙ্গি সিরিয়ায় গ্রেফতার : সিরিয়ায় মার্কিন মিত্র বাহিনীর সদস্যরা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনার ব্যাপারে সহযোগিতা করার অভিযোগে সিরীয় বংশোদ্ভূত এক জার্মান নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) বরাত দিয়ে পেন্টাগন মুখপাত্র এরিক পাহন এক বিবৃতিতে বলেন, সিরীয় বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক মোহাম্মাদ হায়দার জাম্মারকে মার্কিন মিত্র বাহিনী এসডিএফের সদস্যরা এক মাসেরও বেশি সময় আগে গ্রেফতার করেছে।

সিনিয়র এক কুর্দি কমান্ডার এর একদিন আগে জানিয়েছিলেন, জাম্মার গ্রেফতার হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আইএস ঘাঁটিতে ইরাকের জঙ্গিবিমান হামলা

সিরিয়ায় আইএসের অবস্থান লক্ষ করে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইরাকের বিমানবাহিনী। ইরাকি সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে আলজাজিরা জানিয়েছে, হামলায় ইরাকি বাহিনী এফ-১৬ জঙ্গিবিমান ব্যবহার করেছে। এটি সিরিয়ার সঙ্গে ইরাকের সমন্বিত হামলা ছিল বলে ইরাকের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া রাসুলকে উদ্ধৃত করে পার্সটুডে জানিয়েছে।

ইরাক আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিল, প্রয়োজন হলে সিরিয়ার সরকারের অনুমতি নিয়ে তারা দেশটির অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালাবে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদির কার্যালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে হামলার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইরাক সীমান্তে সিরিয়ার ভেতরে আইএসের অবস্থানে হামলা করেছে ইরাকি বাহিনী। আলজাজিরা ও পার্সটুডের খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সরকার যখন পূর্ব ঘৌতা ও দুমা শহরসহ রাজধানী দামেস্কের আশপাশে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে তখন ইরাকি বিমানবাহিনী সিরিয়ার ভেতরে হামলা চালাল। উগ্র সন্ত্রাসীরা নতুন করে দেশটির জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছিল; এমন অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads