• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৩ মে ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমন জারির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত মার্চে ট্রাম্পের আইনজীবীদের সঙ্গে এক আলোচনায় বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার এমন সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের সাবেক এক আইনজীবী। গত মঙ্গলবার ওই আইনজীবী জন দউদ রয়টার্সকে জানান, ‘মার্চের শুরুর দিকে আলোচনায় মুয়েলার সমন জারির কথা উল্লেখ করেছিলেন। এটা কোনো খেলা নয়। আপনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খেলতে চাইছেন।’

সাবেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ প্রশ্নে তদন্ত করছেন বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার। তদন্তের খাতিরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা রয়েছে মুয়েলারের। কিন্তু ট্রাম্পের আইনজীবীরা নানান অজুহাতে সাক্ষাৎকার থেকে বিরত রাখছেন ট্রাম্পকে।

এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট চার হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমন জারির রিপোর্ট করেছিল। তদন্তকারীদের সঙ্গে বসার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, ট্রাম্পের আইনজীবীর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুয়েলার সমনের কথা বলেছিলেন। এদিকে প্রেসিডেন্টকে কী কী প্রশ্ন করা হতে পারে এমন কিছু তথ্য মুয়েলারের দল প্রেসিডেন্টের আইনজীবীদের দিতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবী জে সেকুলোর মতে, মুয়েলারের দল প্রেসিডেন্টকে কমপক্ষে ৪৯টি প্রশ্ন করবে এমনটা জানা গেছে।

সমনের সংবাদের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়ার ডাইনি শিকার বিষয়ক প্রশ্নগুলো মিডিয়ায় ফাঁস  হয়ে গেছে, এটা লজ্জাজনক। আঁতাত নিয়ে কোনো প্রশ্ন নয়। যে অপরাধ কখনো ঘটেইনি সেই অপরাধ বিচারে প্রমাণ করা বেশ কষ্টকর।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ছিল এমন অভিযোগ মুয়েলারের দল করলেও আগাগোড়াই ট্রাম্প বলে আসছেন, তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের সঙ্গে মস্কোর কোনো আঁতাত ছিল না।

সিএনএন সূত্রে জানা যায়, ট্রাম্পের আইনজীবীরা মুয়েলারের দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ট্রাম্প মুয়েলারের দলের প্রশ্ন এড়াতে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর আশ্রয় নেবেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেননি আইনজীবীরা। তবে সিএনএনের সূত্র মতে, ট্রাম্পের আইনজীবীদের মুয়েলারের দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে সংবিধানে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এই প্রতিবন্ধকতার মাঝে ট্রাম্প সাক্ষাৎকার নাও দিতে পারেন এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন আইনজীবীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ধারা-২ অনুসারে প্রেসিডেন্ট চাইলে নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে করা তদন্ত বন্ধ করতে পারেন। ট্রাম্প যেমনটা সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কমির বহিষ্কারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিলেন।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। কিন্তু গত ৯ এপ্রিল প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত অ্যাটর্নি মাইকেল কোহেনের বাড়ি ও অফিসে গোয়েন্দারা অভিযান চালায়। ওই অভিযানের পর প্রেসিডেন্টের আইনজীবীরা সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া থেকে অনেকটা সরে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads