ইরানের সঙ্গে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মরক্কো। পশ্চিম সাহারার স্বাধীনতাকামী সংগঠন পলিসারিও ফ্রন্টকে ইরান সহায়তা করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক মিডিয়া আল জাজিরা।
মরক্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশটি তেহরানে অবস্থিত তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেবে এবং রাজধানী রাবাত থেকে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হবে। পলিসারিও ফ্রন্টের যোদ্ধাদের তেহরান এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ অর্থ সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে এমন অভিযোগ করে আসছে রাবাত।
ইরানের সরকার যে সহায়তা দিচ্ছে এমন প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে বলেও জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বুরিতা জানান, ‘চলতি মাসেই হিজবুল্লাহ এসএএম১১ এবং স্ট্রেলা মিসাইল পাঠিয়েছে পলিসারিও যোদ্ধাদের কাছে। আর এই কাজে জড়িত ছিল আলজেরিয়ায় অবস্থিত ইরানের দূতাবাস। ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা ছাড়া মরক্কোর ভিন্ন কোনো উপায় নেই।’ এ ছাড়া ইরান সুন্নি অধ্যুষিত অঞ্চলে শিয়া আধিপত্য ছড়াতে চাইছে এমন অভিযোগও করেন তিনি।
এদিকে হিজবুল্লাহ কর্তৃপক্ষ মরক্কোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তারা পলিসারিওদের কোনো প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিচ্ছে না বলেও জানায়। আমেরিকা, ইসরাইল এবং সৌদি আরবের চাপে মরক্কো এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে দাবি হিজবুল্লাহর। কার্যত পশ্চিম সাহারার পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ আলজেরিয়া সমর্থিত পলিসারিও ফ্রন্টের হাতে। ১৯৭৫ সাল থেকেই ওই ভূমির ওপর নিজেদের অধিকার দাবি করে আসছে মৌরিতানিয়া, মরক্কো এবং পলিসারিওরা। এ নিয়ে স্পেনের সঙ্গেও কয়েক দফায় সম্পর্ক খারাপ হয় মরক্কোর।