• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে বিচার বিভাগ

অভিযোগ নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে এফবিআই সম্পৃক্ত ছিল

ইন্টারনেট

বিদেশ

নির্বাচনী প্রচারে গুপ্তচরবৃত্তি

এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে বিচার বিভাগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৮

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৬ সালের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বানেই বিচার বিভাগ এই তদন্ত শুরু করছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

গত রোববার এক বিবৃতিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোজেনস্টেইন বলেন, ‘অনুপযুক্ত উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পেইনে অনুপ্রবেশ বা নজরদারি করলে তা আমাদের জানতে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।’ বিচার বিভাগের কাছে ট্রাম্প দাবি জানিয়েছেন, এফবিআই অথবা বিচার বিভাগ নিজে ২০১৬ সালে তার নির্বাচনী প্রচারণায় অনুপ্রবেশ বা নজরদারি করেছিল কি-না। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের কেউ এমন নজরদারি করতে অনুরোধ করেছিল কি-না, তা জানা দরকার বলেও ট্রাম্প মনে করেন।

এ বিষয়ে রোববার সকালে টুইটবার্তায় ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি দাবি জানাচ্ছি এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল ঘোষণা দেব যেন বিচার বিভাগ তদন্ত করে দেখে এফবিআই অথবা বিচার বিভাগ নিজেই অনুপ্রবেশ বা নজরদারি করেছিল কি-না। এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কি-না, তাও জানতে হবে।’

ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে রুশ হস্তক্ষেপ ইস্যুতে অনেকদিন ধরে তদন্ত করছেন বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার। রোববারের টুইটে ট্রাম্প মুয়েলারের তদন্তের সমালোচনা করেন এবং তদন্তে কোনো রুশ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলেও জানান। চলতি বছরের ১৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ রুশ হস্তক্ষেপ তদন্তে দায়িত্ব দেয় রবার্ট মুয়েলারকে। তদন্তের একপর্যায়ে মুয়েলারের দল ২২ জন কর্মকর্তা এবং কয়েকটি কোম্পানিকে অভিযুক্ত করেছে। আর শুরু থেকেই মুয়েলারের তদন্তের বিরোধিতা করে আসছেন ট্রাম্প।

নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে এফবিআই তাদের একজন প্রতিনিধিকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য পাঠিয়েছিল এমন অভিযোগও সম্প্রতি করেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আইন রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চাইলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে কোনো বিস্তারিত দেওয়া হয়নি। সংস্থাটি জানায়, তারা কোনো নাম দিতে পারবে না, কারণ এতে তথ্যদাতার জীবন বিপন্ন হতে পারে।

ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে রবার্ট মুয়েলার নিয়োগ পাওয়ার এক বছর আগে থেকেই নির্বাচনে রুশ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে ওই গুপ্তচর কাজ করছে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি ক্যাম্পেইন চলাকালীনই এফবিআই তদন্ত শুরু করেছিল। মুয়েলারের মতোই সাবেক এফবিআই প্রধান রুশ সংযোগের কারণে ১৯ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু কৌশলে সাবেক এফবিআই প্রধানকে সরিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। কোনো প্রমাণ না দেখিয়েই গত রোববার ট্রাম্প বিচার বিভাগের কাছে তদন্ত দাবি করেছেন। শুধু তা-ই নয়, বিচার বিভাগের কাছে তার বিরুদ্ধে মুয়েলারের তদন্ত বন্ধ করতেও দাবি জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads