• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪২৯
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু স্থাপনা  ধ্বংস নিয়ে হাজারো প্রশ্ন

নতুন পরমাণু কেন্দ্র চালু করার মতো আরো অনেক পর্বত রয়েছে উ. কোরিয়ায়

ইন্টারনেট

বিদেশ

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস নিয়ে হাজারো প্রশ্ন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৮

উত্তর কোরিয়া বলছে, চলতি সপ্তাহেই তারা পরমাণু কেন্দ্র ভাঙার কাজ শুরু করবে। আর এটি শুরু হবে বিদেশি সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই। বিষয়টি নিয়ে আগামী মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের। কিন্তু হঠাৎ করে উত্তর কোরিয়া কেন তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধে রাজি হচ্ছে সেটা নিয়ে নানা মনে নানা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। সেই প্রশ্নকে সামনে রেখেই বিবিসি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

পিয়ং ইয়ংয়ের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র পুঙ্গি রি কমপ্লেক্সটি দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায়। ২০০৬ সাল হতে এই কেন্দ্র থেকে অন্তত ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। কিন্তু ইতোমধ্যেই দেশটি ২৩ থেকে ২৫ মে’র মধ্যে এটিকে ভেঙে ফেলার প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। পুঙ্গি রিতে পারমাণবিক সুবিধা রাখা হয়েছিল পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য। সেখানে পর্বতের কাছে মাটির নিচে টানেল করে এটি করা হতো। শোনা যাচ্ছে, এর একটি অংশ ইতোমধ্যেই ধসে পড়েছে। আর এ কারণেই উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তবে বিশ্লেষকরা বিষয়টিকে এতটা সরলীকরণ করতে রাজি নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম পুঙ্গি রি কেন্দ্রের কার্যক্রমের চেয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। বিভিন্ন সরকার ও স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা সেখানে নতুন স্থাপনা ও উপকরণ সম্পর্কে জানতে পারেন স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া ছবির মাধ্যমে। তবে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হয়তো বোঝা যাবে না উত্তর কোরিয়া নতুন কোনো পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করছে কি না। কারণ নতুন পরমাণু কেন্দ্র চালু করার মতো আরো অনেক পর্বত রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু সেটি হলেও সিসমিক ভূকম্পনের কারণেই তা গোপন রাখা যাবে না।

এদিকে পুঙ্গি রি কেন্দ্রটি ধ্বংস করতে হয়তো কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে কিন্তু দেশটির পরমাণু স্থাপনা অকার্যকর হচ্ছে কি না সেটি যাচাই করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। পারমাণবিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা কমপ্রিহেন্সিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা সিটিবিটিও বিশেষজ্ঞরাই মূলত কেন্দ্রটি পুরোপুরি অকার্যকর হয়েছে কি না সেটি বলতে সক্ষম। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না হলে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি কয়েক বছরের মধ্যেই আবারো শুরু করতে পারবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads