• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
ভাসমান দেশ তাহিতি

বিশ্বের প্রথম ভাসমান দেশ হতে যাচ্ছে তাহিতি

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

ভাসমান দেশ তাহিতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৭ জুলাই ২০১৮

বিশ্বের প্রথম ভাসমান দেশ নির্মাণ করতে যাচ্ছে প্রশান্ত মহাসগারে। ২০২০ সালের মধ্যে তাহিতি দ্বীপে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। এরপর মানুষ দেখবে দিগন্ত-বিস্তৃত জলরাশির মধ্যে ভেসে রয়েছে আস্ত একটা দেশ। খবর ডেইলি মেইল।

অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪৯০০ মাইল দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে ভাসমান দেশ বা ফ্লোটিং নেশন তৈরি হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে পলিনেশিয়া। এটি পলিনেশিয়ার অন্তর্গত হলেও এর অধীন হবে না। দেশটি হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন। থাকবে নিজস্ব আইন ও আলাদা মুদ্রা। ভাসমান দ্বীপের মতোই এর গঠন হবে। পলিনেশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রকল্পের কাজ করছেন সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট এবং ব্লু-ফ্রনিটারস সংস্থা। এর ব্যয়ভার বহন করছে অন্যতম অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা পে-প্যালের কর্ণধার পিটার থিয়েল।

ব্লু-ফ্রনিটারস এবং সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট ২০১৭ সালে প্রথম এমন দেশ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানায়। তারা এ প্রকল্পের নাম দেয় ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া প্রজেক্ট। দেশটির আকৃতি এবং কীভাবে তা সাজানো হবে, তার একটা সম্ভাব্য নকশা প্রকাশ করেছে ব্লু-ফ্রনিটারস। সংস্থাটি জানায়, ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। নকশায় দেখা গেছে, ছোট ছোট শহর নিয়ে হবে দেশটি। এখানে ২৫০-৩০০টি বাড়ি নির্মাণ করা হবে। প্রত্যেক বাড়ির সঙ্গেই থাকবে লাগোয়া জমি এবং বাগান। মাছ চাষের জন্য বিশেষ প্রযুক্তির অ্যাকোয়াকালচার ফার্ম এবং উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং বায়ো গ্যাস তৈরির ব্যবস্থাও থাকবে। এ ছাড়া থাকবে হোটেল, রেস্তোরাঁ, অফিস এবং স্কুল।

ভবিষ্যতে দেশটিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব তৈরির পরিকল্পনাও করা হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আদান-প্রদানের জন্য বিশেষ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। পলিটিক্যাল সায়েন্টিস্ট এবং প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা নাথালে মেজা-গার্সিয়া জানান, দেশটি তার নিজস্ব নিয়মে চলবে। ফলে, দেশবাসী রাজনৈতিক হিংসা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারবে। ভবিষ্যতে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতেও এ দেশ বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। দেশটি নির্মাণে খরচ হবে ৩৫০ কোটি ডলার। ব্লু-ফ্রনিটারস ২০৫০ সালে মধ্যে এ রকম আরো ভাসমান দেশ তৈরির পরিকল্পনা করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads