• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
শিলংয়ের আদালতে বেকসুর খালাস সালাহ উদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

শিলংয়ের আদালতে বেকসুর খালাস সালাহ উদ্দিন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর ২০১৮

ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় শিলংয়ের একটি আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

আজ শুক্রবার বিকালে শিলং জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে আনা অনুপ্রেশের মামলায় এ রায় দেন এবং দ্রুত তার নিজ দেশ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশও দিয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলং পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন বছর বিচার চলার পর চলতি বছরের ১৩ আগস্ট এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর অবশ্য চারবার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছায়। অবশেষে শুক্রবার এই রায় দেওয়া হলো। সালাহউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এপি মহন্ত।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হবার প্রায় দুই মাস আগে থেকে বাংলাদেশে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন সালাউদ্দিন।

অবশ্য বিএনপির এই নেতার দাবি, তাকে বাংলাদেশ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। আর কোন পথে কীভাবে তিনি শিলংয়ে পৌঁছেছিলেন, সে তথ্যও ভারতীয় পুলিশ উদঘাটন করতে পারেনি। 

সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং ২০০১-০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদও সংসদ সদস্য ছিলেন।

২০১৫ সালের ১১ মার্চ শিলং শহরের গলফ মাঠ থেকে পুলিশ সালাউদ্দিনকে আটক করেছিল। অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে শিলং পুলিশ প্রথমে তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। তবে চিকিৎসকরা জানান মানসিক নয়, বিএনপি নেতা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে শিলং সিভিল সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

অসুস্থতার মধ্যেই ২০১৫ সালের ২৭ মে মামলার শুনানিতে শিলংয়ের জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির হন সালাউদ্দিন আহমেদ। একাধিক আইনজীবী জানান, অনুপ্রবেশের মামলায় এত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শিলং আদালতে এর আগে দেখা যায়নি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads