• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
ক্ষমতার লড়াইয়ে চাপে রাজাপাকসে

মাহিন্দা রাজাপাকসে

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট বসছে আজ

ক্ষমতার লড়াইয়ে চাপে রাজাপাকসে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ নভেম্বর ২০১৮

শ্রীলঙ্কায় আজ শুরু হচ্ছে পার্লামেন্ট অধিবেশন। দেশটিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যে রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে পার্লামেন্টে তার সুরাহা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশটিতে বর্তমানে দুজন প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। দুজনই নিজেদের বৈধ বলে দাবি করে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে আজ পার্লামেন্টের সদস্যরাই ঠিক করবেন কে বৈধ। খবর বিবিসি ও এনডিটিভি।

পার্লামেন্টের এই অধিবেশন দেশটির রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, মাহিন্দা রাজাপাকসেকে সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজাপাকসে পরাজিত হলে সেটা একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনারও পরাজয় হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাই রনিল বিক্রমসিংহে ও রাজাপাকসে-দুজনই সংসদ সদস্যদের নিজের দিকে টানার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

তবে রাজাপাকসে বেশ চাপে রয়েছেন। এই অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারলে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন তিনি। তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (টিএনএ) জানিয়েছে, তারা রাজাপাকসেকে সমর্থন দেবে না। তার নিয়োগকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে অভিহিত করেছে দলটি। গত শনিবার দলটি এক বিবৃতিতে জানায়, রাজাপাকসেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিক্রমসিংহেকে সমর্থন দেবে তারা।

সংসদে মোট ২২৫টি আসনের মধ্যে তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের ১৫ জন সদস্য আছেন। এখনো বিক্রমসিংহের প্রতি সমর্থন রয়েছে ১০০ জন সদস্যের। রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট পাস করতে হলে প্রয়োজন ১১৩টি ভোটের। অন্যদিকে রাজাপাকসেও বিক্রমসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) ছয় সংসদ সদস্যকে তার দলে ভেড়ানোর ব্যবস্থা করছেন।

গত ২৬ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহেকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে তার স্থলে নিয়োগ দেন। এর পরদিনই তিনি বিক্রমসিংহের মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। বরখাস্তের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে ২৭ অক্টোবর পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন ডাকেন বিক্রমসিংহে। তিনি নিজেকে বৈধ দাবি করে বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্য তার পক্ষে রয়েছেন।

তার এই দাবির পর প্রেসিডেন্ট ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করেন। স্পিকার বিক্রমসিংহেকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করে। এরপর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে পার্লামেন্টের অধিবেশন ১৬ নভেম্বর থেকে এগিয়ে ৫ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads