• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
শ্রীলঙ্কায় গণকবরে ২৩০ কঙ্কাল

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

শ্রীলঙ্কায় গণকবরে ২৩০ কঙ্কাল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ নভেম্বর ২০১৮

শ্রীলঙ্কায় চলতি বছরের শুরুর দিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মান্নারে খোঁজ পাওয়া একটি গণকবরে ২৩০টিরও বেশি কঙ্কাল পাওয়া গেছে বলে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন। একে শ্রীলঙ্কার ‘সর্ববৃহৎ গণকবর’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন তারা। খবর বিবিসি।

শ্রীলঙ্কায় তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সরকারি বাহিনীর কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধে অন্তত ২০ হাজার লোক নিখোঁজ হয়েছে বলে ভাষ্য মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর। ২০০৯ সালে সমাপ্ত হওয়া ২৬ বছরের ওই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তামিল বিদ্রোহীসহ অন্তত এক লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল বলেও ধারণা বিশ্লেষকদের।

চলতি বছরের শুরুর দিকে মান্নারের প্রধান বাস টার্মিনালের কাছে পুরনো একটি সমবায় গুদামের কাছে নতুন ভবনের নির্মাণকাজের খোঁড়াখুঁড়ির সময় শ্রমিকরা মানুষের দেহাবশেষ পেলে নতুন এ গণকবরটির সন্ধান পাওয়া যায়। পরে আদালত স্থানটিতে বিস্তৃত খননকাজের নির্দেশ দেয়। সেখান থেকেই এ ২৩০টি কঙ্কাল মেলে। তবে এ মৃতদেহগুলো কাদের এবং কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।

কেলানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক রাজ সোমাদেবা বলেন, আমরা খুঁড়ে ২৩০টিরও বেশি কঙ্কাল পেয়েছি। আমার অভিজ্ঞতা বলে এটিই দেশের সবচেয়ে বড় গণকবর। এর আগে আগস্টে এই গণকবরটি থেকে ৯০টি কঙ্কাল পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।  আড়াই দশকের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি শেষে শ্রীলঙ্কায় একের পর এক গণককবরের সন্ধান পাওয়া যায়। হিন্দু মন্দির থিরুকেথেস্বরামের কাছে মান্নারের অন্য একটি গণকবরে ২০১৪ সালে ৯৬টি মৃতদেহের খোঁজ মিলেছিল।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, গৃহযুদ্ধের সময় তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সরকারি বাহিনী দু’পক্ষই নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছিল। সরকারি বাহিনীগুলো শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। মান্নারের গণকবরে উদ্ধার মৃতদেহগুলোর সঙ্গে তাদের সৈন্যদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও উড়িয়ে দিয়েছে কলম্বো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads