• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
এবারের প্রতিপাদ্য ‘মি টু’ প্রচার

নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ দিবসের সমাবেশে এভাবেই ফ্রান্সের লিঁও শহরে জনগণ উপস্থিত হন

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ দিবস

এবারের প্রতিপাদ্য ‘মি টু’ প্রচার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ নভেম্বর ২০১৮

বিশ্বজুড়ে গতকাল রোববার উদযাপিত হয়েছে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ দিবস’। আর এ দিবসকে উপলক্ষ করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে লাখ লাখ মানুষ সমাবেশ করছে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ স্বীকৃত ২৫ নভেম্বর তারিখে নারীর প্রতি সহিংসতা বা নির্যাতন দূরীকরণ দিবস পালন করে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন। এ বছরের প্রতিপাদ্য রাখা হচ্ছে ‘মি টু’ প্রচারণাকে। চলতি বছর আজকের দিনে শুরু হতে যাচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় ১৬ দিনের প্রচারণা। সহিংসতা মোকাবেলায় বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এই প্রচারণায়।

ফ্রান্সে আয়োজিত গত শনিবার প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছিল প্রায় ৫০ হাজারের মতো মানুষ। আয়োজকদের একজন ক্যারোলিন বলেন, লিঙ্গ সহিংসতার বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল তাতে যেভাবে নাগরিকরা সাড়া দিয়েছেন তাকে নারীবাদের জোয়ার হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। ফ্রান্সের শহর লিঁওতেও প্রায় ১২ হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নেয়।

‘উই ওয়ান্ট টু লিভ’ এই ব্যানার নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের নারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ইতালির রোমেও বড় আকারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া এক নারী বলেন, শুধু দেখানোর জন্য নয়, আমাদের কথা শোনানোর জন্যও আমরা সমাবেশ করছি। দিনটিকে কেন্দ্র চিলির সান্তিয়াগোতে সমাবেশ হয় গত বৃহস্পতিবার।

১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে তিন নারী নির্যাতনের ঘটনা বেশ আলোড়ন তোলে। এ ঘটনার স্মরণে ১৯৮১ সালের জুলাই মাসে প্রথম ল্যাটিন আমেরিকায় নারী অধিকার সম্মেলনে ২৫ নভেম্বরকে নির্যাতনবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৯৩ সালের ২৫ নভেম্বরকে নারী নির্যাতন দূরীকরণ দিবস ঘোষণা করে জাতিসংঘ।

নারীর প্রতি বৈষম্য প্রতিরোধে ও নিগ্রহের হাত থেকে রক্ষা করতে জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশন ও প্রতিবেদন রয়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গাইডলাইন। নামকরণ করা হয়েছে- সব ধরনের বৈষম্য ও নিপীড়নের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ গাইডলাইন। এতকিছুর পরও বিশ্বে এখনো তিন ভাগের এক ভাগ নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। এর মধ্যে বেশিরভাগই নির্যাতনের শিকার হন নিজের বাড়িতেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads