• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের হুশিয়ারি ট্রাম্পের

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

ইউক্রেন সঙ্কট

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের হুশিয়ারি ট্রাম্পের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ নভেম্বর ২০১৮

ইউক্রেন নিয়ে সাম্প্রতিক সঙ্কটের কারণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে নির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল করতে পারেন বলে হুশিয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্সে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জি-২০ সম্মেলনের মাঝে এ দুই নেতার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। গত রোববার ইউক্রেনের তিনটি জাহাজের দিকে রুশ বাহিনীর ছোড়া গুলি ও সেগুলো জব্দের ঘটনায় ওয়াশিংটন বৈঠকটি বাতিলের চিন্তাভাবনা করছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

ট্রাম্প গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, সম্ভবত আমার সঙ্গে তার (পুতিন) বৈঠক হবে না। হয়তো আমিই আর করতে চাইব না। আমি আগ্রাসন পছন্দ করি না। আমি কোনোভাবেই আগ্রাসন চাই না।  তিনি ক্রিমিয়া উপকূলের কাছে রোববারের ঘটনার ‘পূর্ণাঙ্গ বিবরণের’ অপেক্ষা করছেন জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা দল এ বিষয়ক প্রতিবেদন দেবে; যার ওপর ভর করেই বৈঠক হবে কি হবে না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকে মস্কোর সঙ্গে সাম্প্রতিক খারাপ সম্পর্ক, অস্ত্র চুক্তি, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে কথা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

ট্রাম্পের এ বক্তব্যের আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নয়ের্ত বলেন, তার দেশ রাশিয়ার ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেখতে চায়। ওয়াশিংটন ইউরোপীয় দেশগুলোকে ইউক্রেনের সহায়তায় আরো বেশি কিছু করারো আহ্বান জানিয়েছে। অবৈধভাবে জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগ এনে গত রোববার রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের দুটি গানবোট এবং একটি টাগবোট জব্দ করে।

এ ঘটনায় কিয়েভ মস্কোর বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসনের; অভিযোগ তুললেও ক্রেমলিন বলছে, আগে থেকে না জানিয়ে তাদের জলসীমায় গানবোট পাঠিয়ে ইউক্রেন ইচ্ছা করেই ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি’ করেছে। এ ঘটনায় ইউক্রেনের ২৪ নাগরিককে আটক এবং আহত তিন নাবিকের চিকিৎসারও খবর দেয় তারা। ক্রিমিয়ার একটি আদালত পরে আটক ১২ জনকে ৬০ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেয়। এ ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও। ইউক্রেইনের জাহাজ ও নাবিকদের আটক করাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন’ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।

যুদ্ধের ঝুঁকিতে রয়েছি: পোরোশেঙ্কো

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, তার দেশের সীমান্তে রুশ সেনা তিনগুণ করা হয়েছে মোতায়েন বাড়িয়ে চলেছে। সেনা ইউনিটের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে দেশটি এখন পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। গত মঙ্গলবার টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন আশঙ্কার কথা জানান। পোরোশেঙ্কো বলেন, রাশিয়ার সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর অর্থই হচ্ছে ইউক্রেন এখন পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের ঝুঁকির মাঝে রয়েছে। রাশিয়ার হাতে আটক ইউক্রেনের নাবিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের মুক্তির জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু মস্কোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া সোমবার রাতে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ১০ সীমান্ত এলাকায় ৩০ দিনের জন্য সামরিক আইন জারিতে প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরেশেঙ্কোর আদেশে অনুমোদন দেয়। এদিকে আটক নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলকেও জানানো হয়েছে যাতে তিনি বিষয়টি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads