মেক্সিকোর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর। স্থানীয় সময় গত শনিবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শপথ নেন তিনি। গত ৭০ বছরের মধ্যে মেক্সিকোর প্রথম বামপন্থি প্রেসিডেন্ট তিনি। বিবিসির খবর।
শপথ গ্রহণের পর দেওয়া ভাষণে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী ওব্রাদর। লোপেজের শপথ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও ব্রিটিশ লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। লোপেজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু করবিন।
জুলাইয়ে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিশাল জয় পান মেক্সিকো সিটির এই সাবেক মেয়র। এবারের নির্বাচনে ৫৬ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে ছয় বছরের প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শুরু করলেন তিনি। সাবেক প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতোর জনসমর্থন ছিল মাত্র ২৪ শতাংশ। নিয়েতোর প্রশাসন দুর্নীতি ও অপরাধজনিত খুনের হার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
তার দল ন্যাশনাল রিজেনারেশন মুভমেন্ট পার্টি (মোরেনা) একটি জোট সরকার পরিচালনা করবে। শপথ অনুষ্ঠানের পর মেক্সিকো কংগ্রেসে দেওয়া প্রথম ভাষণে লোপেজ নির্বাচনের প্রচারণাকালীন দেওয়া তার প্রতিশ্রুতিগুলোই পুনর্ব্যক্ত করেন। এগুলোর মধ্যে অপরাধ, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ উল্লেখযোগ্য। পাশপাশি তিনি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের ব্যবহূত বিমান বিক্রি করে দেওয়ার, প্রেসিডেন্ট প্যালেসে বসবাস না করার ও নিজের বেতন ৬০ শতাংশ হ্রাস করার ঘোষণা দেন। প্রেসিডেন্ট প্যালেসকে পাবলিক মিউজিয়ামে পরিণত করারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সরকারি ব্যয় হ্রাস করারও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এসবের সঙ্গে লোপেজকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জড়ো হওয়া কয়েক হাজার মধ্য আমেরিকান অভিবাসীদের নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
মেক্সিকোয় মার্কিন কনস্যুলেটে গ্রেনেড হামলা : মেক্সিকোর গুয়াদালাজারা শহরের মার্কিন কনস্যুলেটে গত শনিবার গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। মেক্সিকোর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের শপথ অনুষ্ঠানের দিনই হামলাটি হয়। এ হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি এবং মেক্সিকো ফেডারেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্ত করছে।