• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ফের সক্রিয় মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার সিন্ডিকেটদল

ফের সক্রিয় মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার সিন্ডিকেটদল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

প্রবাস

ফের সক্রিয় মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার সিন্ডিকেটদল

  • আশরাফুল মামুন
  • প্রকাশিত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নানা অনিয়মের অভিযোগে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার স্থগিত রয়েছে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে। বাংলাদেশের অন্যতম বড় এই শ্রমবাজার ফের কবে চালু হবে, সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো। তবে বাজারটি নিয়ন্ত্রণে নিতে আরেকটি সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। তবে এসব অপপ্রচারের বিষয়ে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ১ম সচিব জনাব হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল।

প্রতারকরা বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম যুক্ত করে ফেসবুকে পেজ খুলে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুকদের আকর্ষণ করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন অপপ্রচার করা হচ্ছে। সেসকল পেইজে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। আর ওই সব বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, উইচ্যাটসহ বিভিন্ন অবলম্বন। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে প্রতারণা কিছুটা কমলেও আবারো নড়েচরে বসেছে কথিত দালালরা। সহজ সরল বেকার যুবকরা বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম দেখে বিশ্বাস করে প্রতারণা শিকার হতে পারে এমনই মনোভাব প্রকাশ করছে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।

দালালদের কারণে একদিকে ক্ষুন্ন হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি অন্যদিকে সহায় সম্বল বিক্রি করে পথে বসছে হাজার হাজার যুবক। ফেসবুকের মাধ্যমে বিদেশে যেতে ইচ্ছুকদের ব্যাপারে চটকদার বিজ্ঞাপন এবং সর্বনিম্ন মূল্যে বিদেশে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দেওয়া করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আপনাদের মোবাইল নাম্বারটা দেন আমরা যোগাযোগ করে নেব। ওই নাম্বারে যোগাযোগ করে বলা হচ্ছে মেডিকেল করে আসেন ভিসা পাওয়া যাবে। আর মেডিকেল করার পর নেওয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল সেন্টার অনুমোদন নিতে তৎপর শুরু করেছে ওই মহলটি। গতকাল রোববার ফোমেমা নামে মালয়েশিয়ার একটি বেসরকারি মেডিকেল চেকাপ সংগঠনের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে এসেছে। যার মূলে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ান ব্যবসায়ী দাতো শ্রী আবু হানিফ মো. আবুল কাশেম।

বাংলাদেশ থেকে যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবে, তাদের মেডিকেল চেকাপের জন্য মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করে মূলত এই শ্রমবাজারটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছেন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার এই ব্যবসায়ী মহল। যেটি আগে একক নিয়ন্ত্রণে ছিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরেক মালয়েশিয়ান ব্যবসায়ী দাতো শ্রী আমিন নুরের।

সফররত মালয়েশিয়ার বেসরকারি মেডিকেল চেকাপ সংগঠন ফোমেমার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের বেশকিছু মেডিকেল সেন্টার বা ডায়গনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করছেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রীর শিডিউল না হওয়ায় তারা দেখা করতে পারেননি।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের সাক্ষাতের কথা রয়েছে। তবে সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকার ইস্কাটনস্থ বায়রা ভবনে সংগঠনটির নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন মালয়েশিয়া থেকে সফরে আসা ফোমেমার কর্মকর্তারা। যেখানে মেডিকেল সেন্টারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বায়রা মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জনশক্তি রপ্তানিতে ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আগে থেকেই দাতো আমিন নুরের সিনারফ্ল্যাক্স ও বেস্টিনেট এবং দাতো হানিফের রিয়েল টাইম শ্রমবাজারটি নিয়ন্ত্রণে নিতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে। এই দুজনের হয়ে বাংলাদেশের জনশক্তি ব্যবসায়ীরাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দাতো আমিন নুরের সিনারফ্ল্যাক্স অনলাইন সিস্টেম ‘এসপিপিএ’ এবং বেস্টিনেট কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব পায়। বাংলাদেশের ১০ জন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের সমন্বয়ে প্রায় দুই বছর একচেটিয়া ব্যবসা করেন দাতো আমিন নুর। শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও সিন্ডিকেটের অভিযোগে মালয়েশিয়া সরকার অনলাইন সিস্টেম ‘এসপিপিএ’ বাতিল ঘোষণা করে। নতুন সিস্টেম চালু না হওয়া পর্যন্ত ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে শ্রমিক নেয়া গত সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত রেখেছে। মাঝখানে মালয়েশিয়ায় ও বাংলাদেশে উভয় দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মধ্যে দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কবে নাগাদ বাজারটি চালু হবে তা স্পষ্ট করেনি মালয়েশিয়া। কিন্তু, স্থগিত এই বাজারটি দখলে নিতে জনশক্তি ব্যবসায়ী ও মালয়েশিয়ার একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে পড়েন। ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আসেন।

এতে ফোমেমার কর্তৃপক্ষসহ রয়েছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী দাতো আবু হানিফও। বিতর্কিত ব্যবসায়ী দাতো আমিন নুরের বেস্টিনেটের ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা এফডব্লিউসিএমএস-এর পরিবর্তে ফোমেমা প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে ফোমেমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকায় ৩ দিনে ৪৫টি মেডিকেল সেন্টারও পরিদর্শন করার কথা। মূলত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব ফোমেমার কাছে ন্যস্ত করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি নিয়ন্ত্রণে আরেকটি সিন্ডিকেট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলে আশঙ্কা এ খাত সংশ্লিষ্টদের।

সূত্র জানায়, জিটুজি প্লাস চুক্তির আলোকে বিগত দিনে একচেটিয়া ব্যবসা করেছেন ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক। যার মূলে ছিলেন দাতো শ্রী আমিন নুর। এবার আমিন নুরের পরিবর্তে দাতো আবু হানিফকে সামনে রেখে আরেকটি সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। যারা এই শ্রমবাজারটিতে একচেটিয়া ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। মালয়েশিয়ার বেসরকারি ওই প্রতিনিধি দলের সফর সূচি অনুযায়ী জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে গুলশানের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে নেয়া হয়। বিকালে ওই হোটেলেই একটি শ্রমবাজার ও শ্রমিকদের হেলথ চেকাপ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সেমিনার আয়োজন করা হয়।

মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম শাখার প্রথম সচিব (শ্রম) মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল বলেন, মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে কাজ, বেতন, আবাসিক, চিকিৎসা, ইত্যাদি নিশ্চিত করে আসার কাজ করছে হাইকমিশন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা আবশ্যক। অপতৎপরতার কারণে ভালো উদ্যোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাশাপাশি বন্ধুরাষ্ট্রের সাথেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বিরুপতা সৃষ্টি করছে। এদের কারণে বৈধরাও নানান সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। দূতাবাস সব অপতৎপরতা রুখে দিতে কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রচার সংক্রান্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

বন্ধু প্রতীমদেশ মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম স্বীকৃতি কারি মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিস্তৃত হয়ে চলেছে। বর্তমানে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া সুসম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি ইতিবাচক অর্থে বাংলাদেশিদের জন্য একটি নির্ভাবনাময় সেকেন্ড হোম হয়ে উঠেছে।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশিরা অনবরত ঢুকছেন। অস্থিরতাও কম নেই। মালয়েশিয়া সরকার দফায় দফায় শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও শত শত অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক এখনও প্রতারনার শিকার হয়ে অজানা আশঙ্কায় ভুগছেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে মালয়েশিযায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখের অধিক বাংলাদেশি বৈধভাবে আছেন। বিগত সরকারের আমলে বৈধ হওয়ার সুযোগের আওতায় গত প্রায় আড়াই বছরে পাচঁ লাখের অধিক নিবন্ধিত হয়েছিলেন। তন্মধ্যে প্রায় আড়াই লাখের মত ভিসা পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি নাম ও বয়স জটিলতায় বৈধতা পাননি। আর বাকি ২ লাখের বেশি এখনও ভিসা প্রাপ্তির আশায় প্রহর গুণছেন এবং ১ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত হয়েও প্রতারনার শিকার হয়ে দিকবিধিক ছুটাছুটি করছেন। কারণ কিছু বাস্তব জটিলতা এবং চাকরি-এজেন্টদের দ্বারা বৈধকরণ বিরোধী অপপ্রচার আবার বৈধ হওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো জোরালো। দালাল চক্র বলে বেড়াচ্ছে আবারও পারমিটের সুযোগ আসছে।

এদিকে মালয়েশিয়ার মাহাথির সরকার, বিগত সরকারের অনেক নীতি ও সিদ্ধান্তের রিভিউ করলেও বিদেশি শ্রমিকদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। মাহাথির সরকার ক্ষমতায় আদিষ্ট হওয়ার পরপর মানব সম্পদ মন্ত্রী বলেছেন, আগে মালয়েশিয়ান পরে বিদেশি শ্রমিক। তবে মালয় ও বিদেশি কোনটার কি পরিণতি হবে এখনো ধোঁয়াশা। ফলে বিশেষ কয়েকটি ঘটনা ঘটে চলেছে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের আদম বেপারিদের মধ্যে। এদিকে রিহায়ারিং প্রোগ্রাম শেষ হলেও অনেকেই এখনো অবৈধ আছেন যাদের নিশ্চিত মালয়েশিয়া ছাড়তে হবে। এমন পরিস্থিতে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ বা উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গ্রহণ করা হয়নি। সরকার বিষয়ের প্রতি তীব্র নজর রেখেছে বলে জানা গেছে।

১৯৭৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক আসলেও ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সোর্স কান্ট্রির স্বীকৃতি পেয়েছে ৬ টি সেক্টরের জন্য। থেমে থেমে লোক নিলেও ২০০৬/৭ সালে অতিরিক্ত লোক এনে মালয়েশিয়ায় অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ফলে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে লোক আনা বন্ধ করে দেয়। কালক্রমে আবিষ্কার হয়েছে জল ও স্থলপথে অমানবিক ভাবে লোক আনার লোমহর্ষক কাহিনী বিশ্ববাসী দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ কতটা অমানবিক পরিস্থিতে পড়েছে আদম পাচারকারীদদের কারণে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে হাতে গোনা কয়েকজন শাস্তি পেলেও অন্যরা বহাল তবিয়তে আছে। এখনো জলপথে অবৈধভাবে লোক আসছে তবে বডি কন্ট্রাক্ট করে বিমান বন্দর দিয়ে লোক আনা বন্ধ হয়েছে। ছাত্র না হয়েও ছাত্র, ইঞ্জিনিয়ার না হয়েও ইঞ্জিনিয়ার, ট্যুরিস্ট ইত্যাদি ভিসায় লোক আসা কমে গেছে বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে। এভাবে ক্রমাগত অবৈধভাবে লোক এনে মালয়েশিয়ায় দুই ধরনের ক্রাইসিস তৈরি করা হয়েছে এক, নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং দুই, অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যাধিক্য। বৈধভাবে এসেও অবৈধ হওয়ার প্রবণতা প্রবল কারণ যে পরিমান টাকা খরচ করে মালয়েশিয়া আসে তা উসুল করে অতিরিক্ত আয় তিন বছরে সম্ভব হয় না ফলে অবৈধভাবেই থেকে যায়।

নানাভাবে অবৈধ সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষাধিক বলে জানা গেছে। গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশিদের তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধ প্রবেশ, ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও অবস্থান (ওভারস্টে), ভিসা যে কোম্পানির নামে সেখানে অবস্থান না করে অন্যত্র কাজ করা (মিস ইউজ অব ভিসা) অপরাধে প্রতিদিন গ্রেফতার হচ্ছে বাংলাদেশের শ্রমিক। অর্থাৎ বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনায় গলদ রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত হাইকমিশনেও কোন তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা হয় নি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থান মন্ত্রণালয় এ ধরনের উদ্যোগ নেয় নি বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে। আরো জানা গেছে যে, বিএমইটি যে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দেয় সে কার্ড এর কোন তথ্য হাইকমিশনে দেয়া হয় না। এখন প্রত্যেকটা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করে ভান্ডার গড়ে তোলা ছাড়া হাইকমিশনের উপায় নেই।

এ কাজটি করার জন্যও মন্ত্রণালয়ের কোন সাপোর্ট বা উদ্যোগ নেই বলে অনেকে বলছেন। এসব মিলে বাংলাদেশের পক্ষেও মালয়েশিয়ায় কর্মীব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট দূর্বলতা রয়েছে। কিন্তু দূর করার কোন লক্ষণ নেই। ফলে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়, কর্মস্থল সম্পর্কে সঠিক ধারনা না দেয়া, আইন কানুন সম্পর্কে ধারনা না দেয়া, যে কোন স্থানে কাজ করা যাবে এমন বেআইনি তথ্য দেয়া ইত্যাদি ভুল বোঝানো অব্যাহত রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ পক্ষে এমন কিছু কর্মকান্ড করা হচ্ছে তা পক্ষান্তরে মালয়েশিয়ার জন্য বিব্রতকর বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads