• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক বৈধকরণ প্রকল্পের অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ

কুয়ালালামপুরের জালান কেলাং লামা ভূমি টুঙ্গাল গ্রূপ অফ কোম্পানির কার্যালয়ে বাংলাদেশী শ্রমিক সুলাইমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ছবি : বাংলাদেশে খবর

প্রবাস

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক বৈধকরণ প্রকল্পের অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ

  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

মালয়েশিয়ার ভূমি টুঙ্গাল গ্রূপ অফ কোম্পানি থেকে ২ লক্ষ রিঙ্গিত (৪০ লক্ষ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশী শ্রমিক সুলাইমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে কোম্পানির মালিক ও ভুক্তভোগীরা।

গতকাল বুধবার বিকালে কুয়ালালামপুরের জালান কেলাং লামা ভূমি টুঙ্গাল গ্রূপ অফ কোম্পানির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পড়ে শোনান কোম্পানির পরিচালক সিতি আয়েশা বিনতে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও ব্যাবস্থাপক মোঃ মিজানুর রহমান মিজান।

অভিযোগে উল্লেখ করেন, ভুমি টুঙ্গাল গ্রুপ অব কোম্পানীর কর্মচারী কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার পারুপারা গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে মোঃ সুলাইমান মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার জন্য রিহায়ারিং প্রোগ্রামে শ্রমিকদের ভিসা ও ভিসা নবায়ন করার জন্য টাকা নেয়। কিন্তু সেই টাকা কোম্পানীতে জমা না দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

এদিকে কোম্পানি সুলাইমানের প্রতারনার বিষয়টি কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে লিখিত ভাবে অবহিত করে তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় পুলিশ রিপোর্ট করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুমি টুঙ্গাল গ্রপের ব্যবস্থাপক মো: মিজানুর রহমান সরকার, পিতা: আব্দুল মান্নান সরকার, সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ার কোম্পানি ভুমি টুঙ্গাল গ্রুপ অফ কোম্পানির পরিচালক সিতি আয়শা বিনতি মোহা: সালেউদ্দিন তার IC 880209015704, তিনি জন্মসূত্রে মালয়েশিয়া নাগরিক, আমাদের ভুমি টুঙ্গাল গ্রুপ অব কোম্পানী মালয়েশিয়াতে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যান্ত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছে। কিন্তু আমাদেরই বিশ্বাসভঙ্গকারী প্রতারক সুপারভাইজার মোঃ সুলেমান, পিতা: আব্দুল গনি, গ্রাম: পারুপারা, পোস্ট: পারুওয়ারা বাজার, থানা: বুড়ীচঙ্গ, জেলা: কুমিল্লা (পাসপোর্ট নং- BF0232774, বাংলাদেশী) আমাদের অফিস ৫৫ নং, জালান ১০/১৫২, টামান পারইনডাসট্রিয়ান ওইউজি, জালান পুচং অফ জালান কেলাং লামা, কুয়ালালামপুর এই অফিসের ঠিকানায় মার্চ - ২০১৬ থেকে জানুয়ারী - ২০১৮ পর্যন্ত এই সুলেমান অবৈধ শ্রমিকদের পূর্ণ বৈধ করার জন্যে ভিসা ও ভিসা নবায়নের রিংগিত সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল। যখন আমরা সকল হিসাব চুড়ান্ত করতে যাই তখন রিংগিত জমা দেওয়ার রিসিট বই পর্যবেক্ষন করে দেখতে পাই, মালয়েশিয়া ২ লক্ষ রিঙ্গিত এর অধিক রিংগিত যা বাংলাদেশীী টাকায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা মোঃ সুলেমান অফিসে জমা দেয়নি। এমতবস্থায় আমরা সুলেমানের উপর চাপ প্রয়োগ করি রিংগিতের ব্যাপারে সমাধানের জন্য। এক পর্যায়ে সে আশ্বাস দেয় শ্রমিকের সব টাকা সে দিয়ে দিবে। হঠাৎ একদিন জরুরি কাজ দেখিয়ে গত ৩১-০১-২০১৮ বাংলাদেশে চলে যায়। কোম্পানিকে আশ্বস্ত করে মালয়েশিয়া ফিরে এসে শ্রমিকের রিঙ্গিতের সমাধান করে দিবে। বেশ কয়েক দিন যাওয়ার পর আমরা তার সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। এই দিকে সুলেমানের পারমিটের মেয়াদ ও শেষ হয়ে গেছে। তাই কোনো উপায়ান্ত না পেয়ে মালয়েশিয়াতে পুলিশ রিপোর্ট করি।

অতএব সকল সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে আইনি সহায়তায় সুলেমানের কাছ থেকে উপরোল্লেখিত ২ লক্ষ রিঙ্গিত উদ্ধারে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা যেন আর কোন বাংলাদেশী না করে সে জন্যে আমি ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads