• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
আমিরাতে বৈধ হলো ৫০ হাজার বাংলাদেশি

আমিরাত

সংগৃহীত ছবি

প্রবাস

আমিরাতে বৈধ হলো ৫০ হাজার বাংলাদেশি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

গত বছরের ১ আগস্ট থেকে অবৈধ অভিবাসীদের প্রথমে তিন মাসের ও পরে আরো দুই মাস সময় বাড়িয়ে মোট ৫ মাসের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক সাধারণ ক্ষমার আওতায় নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিয়ে ফেরার পথে ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আরব আমিরাত সফর দেশটিতে আরো বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে অবদান রাখবে বলে সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। ইতোমধ্যেই ১৯ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আরব আমিরাতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তা ছাড়া চিকিৎসা ও প্রকৌশলসহ বেশ কিছু খাতে বাংলাদেশি পেশাজীবীদের জন্য দেশটির সরকার ভিসা উন্মুক্ত করেছে। ড. মোমেন জানান, গত বছর আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমিরাত সরকার ঘোষিত ৫০ হাজার বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার আওতায় নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এসব বাংলাদেশি সেখানে অবৈধ হয়ে পড়েছিলেন।

তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় এলএনজি, বিদ্যুৎ অন্যান্য প্ল্যান্ট স্থাপনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও শেখ আহমেদ ডালমুক আল মাকতুমের প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া মাতারবাড়ীতে ৩০০ একর ভূমিতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও শেখ আহমেদ ডালমুক আল মাকতুমের প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কোনো প্রকার সামরিক চুক্তি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রশীদ আল মাকতুমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স ও আরব আমিরাতের ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মুহম্মাদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট শেখ যায়েদ বিন সুলতানের স্ত্রী শাইখা ফাতিমার সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফিরবেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads