• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
এইচআইভি ভাইরাসমুক্ত হলেন ব্রিটিশ রোগী

এইচআইভি ভাইরাসমুক্ত হলেন ব্রিটিশ রোগী

প্রতীকী ছবি

বিদেশ

পৃথিবীতে দ্বিতীয় নজির

এইচআইভি ভাইরাসমুক্ত হলেন ব্রিটিশ রোগী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ মার্চ ২০১৯

চিকিৎসাবিজ্ঞানে ঘটল আরো একটি যুগান্তকারী ঘটনা। মরণঘাতী এইডস ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পেয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। দ্বিতীয় আরেকজন ব্রিটিশ রোগীকে মরণব্যাধি এইডসের ভাইরাস এইচআইভিমুক্ত করা গেছে। এই কাজটি করা হয়েছে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে। আর এই সাফল্য এইডসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সুখবর এনে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে।

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘ন্যাচার’ এ সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। তার বরাতেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনের প্রতিবেদনে জানিয়েছে এই তথ্য। ‘ন্যাচার’-এর নিবন্ধটি গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের চিকিৎসাবিষয়ক এক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। নিবন্ধে বলা হয়েছে, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এইচআইভি আক্রান্ত এক রোগীর দেহ এইডস ভাইরাসমুক্ত করা গেছে। ব্রিটেনের এক ব্যক্তি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে এইডস থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছেন।

এইচআইভি প্রতিরোধী বোন ম্যারো স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের প্রায় তিন বছরের মাথায় তার শরীর থেকে এইচআইভি ভাইরাস পুরোপুরি বিদায় নিয়েছে। তবে সঙ্গত কারণে রোগীর নাম-পরিচয়, বয়স ও জাতীয়তা গোপন রাখা হয়েছে। রোগীর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘লন্ডন পেশেন্ট’। গবেষকরা বলছেন, নতুন করে এইচআইভি থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়ার পর চিকিৎসাবিজ্ঞানে উন্মোচিত হয়েছে নতুন দিগন্ত।

চিকিৎসক দলের এক সদস্য রবীন্দ্র গুপ্তা জানান, ২০০৩ সালে ‘লন্ডন পেশেন্ট’ এইচআইভিতে আক্রান্ত হন এবং ২০১৭ সালে তিনি হজকিন্স লিম্ফোমা নামক এক ধরনের ব্লাড ক্যানসারেও আক্রান্ত হন। ২০১৬ সালে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার বাঁচার আশা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। সেই সময় চিকিৎসকরা তার বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।

অস্ট্রেলিয়ার ডোহারটি ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটির সহসভাপতি শ্যারন লেউইনের বলেন, লন্ডনের ঘটনা এইডসবিষয়ক গবেষণায় নতুন পথের সন্ধান দিচ্ছে। এইচআইভির চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে এ উদ্যোগ এক দিন এই ভাইরাস নির্মূলে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে টিমোথি ব্রাউন নামক এক আমেরিকান ব্যক্তি এইচআইভি-তে আক্রান্ত হন এবং তিনি চিকিৎসার মধ্য দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। তিনিই বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি এইচআইভি থেকে নিষ্কৃতি পান এবং এখন পর্যন্ত তিনি রোগমুক্ত আছেন। এরপর দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তিকে একই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিয়ে ভাইরাস মুক্ত করা গেল।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত। ১৯৮০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সাড়ে ৩ কোটি মানুষ মারা গেছেন এই রোগে। তবে কয়েক বছর আগে উদ্ভাবিত জটিল ভাইরাস দিয়ে তৈরি ওষুধ দ্বারা এইচআইভি নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads