• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯

বিদেশ

নিউজিল্যান্ডে সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৫ মার্চ ২০২১

নিউজিল্যান্ডে ৮.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর জারি করা সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ১ মাত্রারসহ পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে নিউজিল্যান্ড। তিনটি ভূমিকম্পের প্রতিটিই সাত মাত্রার ওপরে। প্রথমে গিসবার্ন থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর কারমাডেক আইল্যান্ডে ৭.৪ ও ৮.১ মাত্রার দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এর আগে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে ৭ দশমিক ৪ ও ৭ দশমিক ২ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প হয়। এছাড়া আগে-পরে নিউজিল্যান্ড উপকূলে অনুভূত হয় ৫ থেকে ৬ মাত্রার আরও অন্তত ৩৯টি কম্পন।

সর্বোচ্চ ৮.১ মাত্রায় ভূমিকম্পের কারণে নর্থ আইল্যান্ড উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়। জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। তবে, বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার পর জারি করা সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে, পূর্ব উপকূলে এখনও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর মেলেনি। যদিও এলাকাবাসীকে সরিয়ে নেয়ার সময় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবচেয়ে বড় ঢেউ চলে গেছে। স্থানীয়দের নিজ বাড়িতে ফিরতে বলা হয়েছে। তবে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা কেটে গেলে নিজ বাড়িতে ফেরার অনুমতি মেলে। তবে, সৈকত এড়িয়ে চলার নির্দেশ বহাল আছে। এছাড়াও নিউ ক্যালেডোনিয়া ও ভানৌতুতেও বিপজ্জনক ঢেউয়ের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এই দুটি দেশের উপকূলে ১০ ফুট উচ্চতার ঢেউ দেখা গেছে। দক্ষিণ আমেরিকার পেরু, ইকুয়েডর ও চিলিতে ১ মিটার ঢেউ উপকূলে পৌঁছেছে।

মাত্র গত সপ্তাহে ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক দশক পার করল নিউজিল্যান্ড। ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ক্রাইস্টচার্চ শহরের বহু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads