• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
এক ডোজ টিকাও পায়নি ৩৬ দেশ : ডব্লিউএইচও

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

এক ডোজ টিকাও পায়নি ৩৬ দেশ : ডব্লিউএইচও

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০২১

বিশ্বব্যাপী আবারো বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও। যদিও আশার ভেলা হয়ে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে এবং দ্রুত গতিতে চলছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো বিশ্বের এখনো ৩৬টি দেশ ১ ডোজ করোনার টিকাও পায়নি। সেসব দেশের জন্য এগিয়ে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্বের দরিদ্রতর দেশগুলোর জন্য করোনাভাইরাসের এক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গাভি পরিচালিত কোভ্যাক্স কর্মসূচির সঙ্গে অবিলম্বে এ পরিমাণ টিকা ভাগ করে নিতে বিভিন্ন দেশ এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

মূলত কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় দরিদ্রতর দেশগুলোকে এ টিকা দিতে আগ্রহী কোভ্যাক্স। গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, আগেই আমি এ বছরের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে সব দেশের কাছে টিকা পাঠানো নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু ডেটলাইনের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি থাকলেও ৩৬টি দেশ এখনও তাদের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য টিকা পায়নি। ফলে তাদের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে।

এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন না পাওয়া ৩৬ দেশের মধ্যে ১৬টিতে অবশ্য আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে টিকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কিন্তু বাকি ২০টি দেশ এখনও ভ্যাকসিন সংগ্রহ বা এ-সংক্রান্ত কার্যকর কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে সমর্থ হয়নি।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরই মধ্যে করোনার একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি আট লাখ ৫৩ হাজার ৩২। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৬১ হাজার ১৪২ জনের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads