• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
খাদ্যশস্যের দাম সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

খাদ্যশস্যের দাম সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১০ এপ্রিল ২০২১

করোনা মহামারীর মধ্যে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েই চলেছে। চলতি বছরের মার্চে খাদ্যশস্যের যা দাম ছিল তা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়। খবর আলজাজিরার। খাদ্যমূল্য সূচক প্রতি মাসে আপডেট করে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন।  সংস্থাটির ফুড প্রাইস ইনডেক্সে বলা হয়, মার্চে শষ্য, তেলবীজ, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস এবং চিনির দরের সূচকের পয়েন্ট ছিল ১১৮.৫। যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১১৬ পয়েন্ট। যদিও সংশোধনের পর তা ১১৬.১ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ফাওয়ের শস্যমূল্য সূচক হ্রাস পেয়েছে ১.৭ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ৮ মাস পর শস্যের দর কমলো। গুরুত্বপূর্ণ শস্যের মধ্যে গমের রপ্তানি মূল্য সবচেয়ে বেশি কমেছে।

৮ শতাংশ বেড়েছে উদ্ভিদজাত তেলের দর। যা ২০১১ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পাম, সয়া, রেপ আর সূর্যমুখী তেলের। আর টানা ১০ মাসের মতো বেড়েছে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম। মাংসের দাম বেড়েছে ২.৩ শতাংশ। চিনির দাম ৪ শতাংশ কমেছে বিগত মাসের তুলনায়। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৩০ শতাংশ বেশি। ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের তথ্যমতে, ২০২০ সালে রেকর্ড পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়। চলতি বছরও তা অব্যাহত থাকতে পারে। 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষকে। কয়েকটি দেশ একাই অনেক বেশি উৎপাদনক্ষমতা রাখে। আবার অনেক দেশ আমদানি করা খাদ্যপণ্যে নির্ভরশীল। খাদ্যপণ্যের দাম আন্তর্জাতিকভাবে আরো বাড়া মানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় বিপর্যয় নেমে আসা। করোনা মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গত বছরের জুন থেকে খাদ্যপণ্যের দামের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। ওই বছরের ‘এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স’ (এফএফপিআই) শীর্ষক প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, দুগ্ধজাত পণ্য আর ভোজ্যতেলের দাম খুব বেশি পরিমাণে বেড়েছে বলেই বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের দর বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনাকালে চীনও ভুট্টা, গম, চালসহ বিভিন্ন শস্যের আমদানি বাড়িয়েছে। অনেক দেশ সংকটকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি শস্য মজুত করছে। এসব কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে চাল, গমসহ বিভিন্ন শস্যের দাম বেড়েছে। ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে ভুট্টা। এর ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব পড়েছে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচকে।

এফএ-ও বলছে, অনেক দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকলেও তাদের পণ্য রপ্তানি অন্য দেশের জন্য পর্যাপ্ত না। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, এশিয়া ৯টি, আফ্রিকার ৩৪টি দেশসহ অন্তত ৪৫টি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। সহিংসতা, করোনা মহামারী আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের এখন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে করোনা মহামারীতে যাদের বেতন কমেছে তারা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। এর ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads