• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুর তৃতীয় স্প্যান স্থাপিত

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১১ মার্চ ২০১৮

স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা সেতুর ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর তৃতীয় স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ৭সি । এরই মধ্য দিয়ে নির্মাণাধীন সেতুর ৪৫০ মিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। এতে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পূর্ণতার দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।

রোববার সকাল ৬টা থেকেই শুরু হয় স্প্যান বসানোর আনুষাঙ্গিক কাজগুলো। সকাল ৯টার দিকে খুঁটির ওপর স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় প্রায় অর্ধ কিলোমিটারের সেতু। এর আগে শনিবার বিকেলে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান বহনকারী তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ‘তিয়ান ই’ ক্রেনটি ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির এলাকায় পৌঁছায়।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, স্প্যান বহনকারী ক্রেনটিকে ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির সামনে পজিশন অনুযায়ী আনা হয়। এরপর লিফটিং ক্রেনের সাহায্যে অস্থায়ী বেয়ারিংয়ের ওপর রাখা হয় স্প্যানটিকে। তবে স্থায়ীভাবে বসতে কয়েকদিন সময় লাগবে। এছাড়া স্প্যান ওঠানোর আগে যাবতীয় সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।

৭সি নম্বর স্প্যানটি শনিবার বিকেল ঠিক সাড়ে ৩টায় এখানে পৌঁছে। এর আগে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার দূরে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর খুঁটির সামনে নোঙ্গর করা হয়েছিল। শনিবার এটি আবার এটি রওনা হয়ে গন্তব্যে পৌছায়।

শনিবার বিকেলে জাহাজটি পৌঁছনোর পরপরই ১২টি অ্যাঙ্কর দিয়ে এটি শক্ত করে নোঙর করার কাজ শুরু হয়।

এর আগে শুক্রবার বেলা ১২টায় মাওয়ার কুমারভোগের বিশেষায়িত ইয়ার্ডের জেটি থেকে প্রায় ৩২শ’ টন ওজনের ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজটি এ স্প্যানটি পাজা করে তুলে নিয়ে রওয়ানা হয়। ৩৭, ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটির দুটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ৩০০ মিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছিল। ১ম স্প্যানটি স্থাপন করা হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে গত ২৮ জানুয়ারি।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার ভাসমান ক্রেনের এ জাহাজটি জাজিরা প্রান্তের এবার দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ স্থানে পৌছে যায়। এদিকে ৩৬শ’ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ নামের বিশাল এ জাহাজ চলাচলে পদ্মা নদীর পানির গভীরতা ঠিক রাখার জন্যে নির্দিষ্ট চ্যানেলে ড্রেজিং অব্যাহত ছিল।

এদিকে স্প্যান স্থাপনের পাশাপাশি অন্যান্য কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে নদীতে ১২২ পাইল স্থাপন হয়ে গেছে আরও ১১টি পাইলের বটম সেকশন সম্পন্ন হয়েছে। মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টের ১৭২টি পাইলের মধ্যে ৮৯টি পাইল বসে গেছে। অন্যান্য কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

এছাড়া ৪১ নম্বর খুঁটির কাজও এগিয়েছে। তাই পরবর্তীতে ৪ নম্বর স্প্যান বসানোর প্রস্তুতিও রয়েছে। তাছাড়া ৪২ নম্বর কাজও এগুচ্ছে। ওপরে উঠে গেছে মাওয়া প্রান্তের ৩ নম্বর খুঁটি। ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটি ওপর দিকে উঠার পথে। এছাড়া ১৩, ১৪, ১৬, ১৭, ২১, ২২, ২৩, ৩৩, ৩৪ ও ৩৬ নম্বর খুঁটির কাজ এগিয় গেছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২ খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads