• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯

বাংলাদেশ

তরমুজের ফলনে খুশি কৃষক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ এপ্রিল ২০১৮

এবার বরগুনায় হেক্টর প্রতি ৪৫ টনের বেশি তরমুজ ফলেছে। ভালো দাম পাওয়াতে কৃষকও খুশি। ২০১৭ সালে লোকসানের ভয়ে কৃষকরা তরমুজের আবাদ কমিয়ে দিয়েছিলেন । ২০১৭ সালে শিলাবৃষ্টিসহ নানা প্রতিকুলতায় লোকসানে পড়েছিলেন কৃষক। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। তবে ভালো ফলন হওয়াতে এবং দাম বেশি পাওয়াতে চাষিরা বেশ খুশি।

বরগুনা জেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় মোট তরমুজ আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৫১৯ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ১ হাজার ১০ হেক্টর, আমতলীতে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর, তালতলীতে ২ হেক্টর, পাথরঘাটা উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে।
তরমুজ চাষি ও পাইকারী ক্রেতাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, উপকূলীয় বরগুনা জেলায় উৎপাদিত তরমুজ অপেক্ষাকৃত সুস্বাদু হওয়ায় দেশজুড়ে এর চাহিদাও ব্যাপক। পথে নানা ঝামেলার কারণে পাইকাররা গত বছর এ জেলায় তরমুজ কিনতে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। অনেক কৃষকের উৎপাদিত তরমুজ ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে। 


আমতলীর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম বদরুল আলম বলেন, জেলায় সব থেকে বেশি তরমুজ আবাদ করা হয় আমতলী উপজেলায়। ২০১৭ সালে শুধু এ উপজেলাতেই ৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু বোরো ধানের ভালো দাম প্রাপ্তি, তরমুজের বীজের দাম বৃদ্ধি এবং তরমুজ চাষে বৈরি আবহাওয়ার বাঁধা, নানা কারণে আমতলীসহ জেলায় তরমুজের আবাদ কমেছে। তবে এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৪০ টনের বেশি তরমুজ ফলেছে।


বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহী নুর আজম খান বলেন, উপকূলীয় এ জেলায় তরমুজ চাষ অত্যন্ত ঝঁকিপূর্ণ। অকাল বৃষ্টির কারণে তরমুজ চাষ করে ২০১৭ সালে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এর ফলে এ বছর বরগুনায় তরমুজ চাষ অনেক কমেছে। সেই সাথে পরিপূরক হিসেবে চাষিরা ডাল ও বোরোর আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads