• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

কুতুপালং শিবির পরিদর্শনকালে স্যাম ব্রাউনব্যাক ও মার্সিয়া বার্নিকাট

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ

কুতুপালং শিবিরে ট্রাম্পের বিশেষ দূত

‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়নি ৫ রোহিঙ্গাকে’

  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৮

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। দেশে ফিরে রোহিঙ্গারা যেন পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক। গতকাল বুধবার কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং শিবির পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বলেন, সম্প্রতি তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে পাঁচ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় পড়ে না।

বুধবার সকালে কক্সবাজার আসেন স্যাম ব্রাউনব্যাক ও বার্নিকাট। বেলা ১১টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন ব্রাউনব্যাক। তিনি দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং শিবির পরিদর্শন করেন। এখানেও বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা পরিচালিত ট্রানজিট পয়েন্টে সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ট্রাম্পের বিশেষ দূত বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমরা জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তারা সেখানে স্বাধীনভাবে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে পারেননি। রাখাইন রাজ্যে ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। শিশু-বৃদ্ধসহ অসংখ্য মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন। ধর্ষিতা হয়েছেন কিশোরী ও তরুণীরা।’ বিকালে কুতুপালং মধুরছড়া শিবির পরিদর্শন এবং মসজিদের ইমাম, মাদরাসা শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন ব্রাউনব্যাক। আগামীকাল শুক্রবার তার বাংলাদেশ ছাড়ার কথা রয়েছে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নির্বিচারে চালানো গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাটের কারণে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনো তা শুরু করেনি মিয়ানমার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads