দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি সুলতানা কামাল। গতকাল সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সুলতানা কামাল বলেন, জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্রের বেআইনি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দেশে ক্রমাগত বিচারবহির্ভূত হত্যা ঘটেই চলেছে, এটা বড় উদ্বেগের বিষয়। মাদক ব্যবসায়ীসহ যেকোনো সন্ত্রাসীকে এভাবে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা মানবাধিকার লঙ্ঘন। যেকোনো অপরাধকে বিচারের আওতায় এনে তার শাস্তি দেওয়া উচিত। অথচ সেটা হচ্ছে না। জনগণ এভাবে হত্যাকাণ্ড দেখতে চায় না। তাই যদি হবে তাহলে দেশে আইন আদালত কেন? জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্রকে এভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যায় ব্যবহার করা বেআইনি।
সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাকটিভিজমের সমন্বয়কারী লিসা হায়াৎ লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘের সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ প্রক্রিয়ার (ইউপিআর) আওতায় গত ১৪ মে জেনেভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ১০৫টি দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে ২৫২টি সুপারিশ করে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য এদেশের প্রশংসাও করেন তারা। তবে এসবের তুলনায় সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো ছিল ব্যাপক।
সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাকটিভিজম, নেটওয়ার্ক অব নন-মেইনস্ট্রিম মারজিনালাইজড কমিউনিটিস, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যা-রিফর্ম এ ডেভেলপমেন্ট এবং কাপেং ফাউন্ডেশন এই মিট দ্য প্রেস এর আয়োজন করে।
