• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
ছাত্রলীগের হামলায় রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমান

দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান

সংরক্ষিত ছবি

বাংলাদেশ

ছাত্রলীগের হামলায় রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমান

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০১৮

দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানহানি মামলায় গতকাল রোববার কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর আদালত চত্বরেই হামলার শিকার হন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিকাল সাড়ে ৪টায় তার ওপর এ হামলা হয়। হামলার পর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় আদালত চত্বর থেকে উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সকালে ৫০০ ধারার মানহানি মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে যান মাহমুদুর রহমান। হাজির হওয়ার পর ১০ হাজার টাকা জামানতে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক এমএম মোর্শেদ। পরে তাকে পুলিশি নিরাপত্তায় ঢাকার পথে রওনার নির্দেশ দেন আদালত। তার জামিন মঞ্জুর করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দুপুর ১২টা থেকে ছাত্রলীগ নেতারা আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তিনি ফের আদালতের এজলাসে আশ্রয় নেন। পরে দুপুর ১টার দিকে মাহমুদুর রহমান সঙ্গীদের নিয়ে আদালত থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে আদালত ভবনের প্রতিটি দ্বার আটকে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ সময় একই পরিবেশ বিরাজ করায় মাহমুদুর রহমান বিষয়টি আদালতকে জানান। একপর্যায়ে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য তিনি লিখিত আবেদন করেন।

প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ পাহারায় বাইরে বের হলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে মাহমুদুর রহমানকে পেটাতে থাকে। তাকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি ইট-পাথরও ছোড়া হয়। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। এ সময় হামলায় তার মাথা ফেটে যায়। বিকাল সাড়ে ৪টায় সেখান থেকে বের হয়ে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় তার গাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কোর্ট চত্বর থেকে নিরাপদে বের করে দেন।

এ বিষয়ে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ কুষ্টিয়ার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু জানান, দীর্ঘ সময় একই পরিবেশ বিরাজ করায় মাহমুদুর রহমান আদালতকে বিষয়টি জানান। পরে লিখিতভাবে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য তিনি আবেদন করেন। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে আদালত এলাকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর হামলা চালানো হয়। তাকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব এম আবদুল্লাহ দাবি করেন, স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী-ক্যাডাররা মাহমুদুর রহমানকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তিনি রক্তাক্ত, তার ব্যবহার করা গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

জামিনপ্রাপ্ত আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বেলা সাড়ে ১১টা থেকেই আদালত ভবনের মধ্যে অবরুদ্ধ ছিলেন বলে স্বীকার করেন কোর্ট ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনা সভায় আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু, তার মেয়ে শেখ হাসিনা ও নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মানহানি মামলা করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads