• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
সহিংসতা মোকাবেলায় প্রস্তুত পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশ

সংরক্ষিত ছবি

বাংলাদেশ

সহিংসতা মোকাবেলায় প্রস্তুত পুলিশ

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা। একই সঙ্গে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাও করছে দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবেলায় রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা সৃষ্টি করতে কোনো অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আগেই তাদের দমন করা হবে। এ লক্ষ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আগামী সপ্তাহে মাঠে নামতে যাচ্ছেন র্যাব পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জঙ্গি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছাড়াও একাধিক রাজনৈতিক দলের চিহ্নিত উগ্রপন্থি নেতা, যারা নাশকতামূলক তৎপরতা চালাতে পারেন এবং কর্মীদের ব্যবহার করে জ্বালাও-পোড়াও ও ভাঙচুর করে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারেন তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুই বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপ বা সমঝোতার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। বিএনপি রাজপথে আন্দোলন এবং ক্ষমতাসীনরা তা প্রতিহতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দল দুটির এমন মুখোমুখি অবস্থানে সামনের দিনগুলোতে আবারো সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তারা। তাদের মতে, এবার নির্বাচন নিয়ে সমঝোতা না হলে ২০১৩ ও ১৪ সালের  চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বর্তমানে সরকার ও বিরোধী জোট মুখোমুখি অবস্থানে। এ নিয়েও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে জনমনে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও কোনো প্রকার সংঘাত ঘটতে দেওয়া হবে না। এ জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে মাঠে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে একাধিক রাজনৈতিক দল। তারা অবরোধ ও আন্দোলনের নামে সে সময় পেট্রোলবোমা ও চোরাগোপ্তা হমলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। সাধারণ মানুষ, এমনকি গবাদিপশুও পুড়িয়ে হত্যা করে। সঙ্গত কারণেই যারা সহিংসতার নির্দেশ দিতে পারে পুলিশ এবার সেই ধরনের চিহ্নিত ও নামধারী নেতাদের নির্বাচনের আগেই গ্রেফতার করবে। রাজধানীসহ সারা দেশে এ রকম ৫ শতাধিক নেতা রয়েছেন— যারা নির্বাচন এলেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তারা পুলিশের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালান। এবার এসব বরদাশত করা হবে না।

এ ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমরা গ্রেফতার অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী অনেক চিহ্নিত নেতাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত বছর যারা উসকানি দিয়েছিল এবং যারা সহিংসতা চালিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার তারা সুবিধা করতে পারবে না। এ বিষয়ে সারা দেশে পুলিশকে ইতোমধ্যে অ্যালার্ট করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads