• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
এশিয়ায় ৫০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত

এশিয়ায় ৫০ কোটি ক্ষুধার্ত মানুষ

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ

এশিয়ায় ৫০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত

দক্ষিণ এশিয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় সাত কোটি ৯ লাখ শিশু খাদ্যঝুঁকির মুখে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৩ নভেম্বর ২০১৮

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত এবং অপুষ্টিতে ভুগছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল শুক্রবারের প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়, এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নতির দিকে থাকলেও মানুষের খাদ্যমানের কোনো উন্নতি হয়নি। প্রায় ৫০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন নিয়ে এ অঞ্চলের সরকারগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেও রিপোর্টে বলা হয়।

এফএওর মতে, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উল্টো সংখ্যা বিচারে ওশেনিয়াতেই প্রায় দুই লাখ মানুষ বেড়েছে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো ভয়াবহ মাত্রায় খাদ্য অনিরাপত্তার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, যা ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে।

রিপোর্টটিতে এশিয়ার কোন শহরের মানুষের খাদ্যমান ভালো এমন কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের চিত্র প্রকাশ করতে গিয়ে বলা হয়, শহরটিতে প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন সঠিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার পাচ্ছে না। পাকিস্তানে প্রায় ৯৬ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই এই অবস্থা বিদ্যমান। খাদ্যমান সঙ্কটে বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি শিকার হচ্ছে বলেও জানায় এফএও। কিন্তু জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোর রিপোর্টে আবার এই অঞ্চলেরই অর্থনৈতিক ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হচ্ছে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, জাতিসংঘের উচিত সকল সংস্থার সমন্বয়ে মহাদেশকেন্দ্রিক মানুষের জীবনযাত্রার মান নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা। দীর্ঘমেয়াদে অপুষ্টির হার ২০০৫ সালের ১৮ শতাংশ থেকে ২০১৭ সালে ১১ শতাংশে হ্রাস পেলেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অপর্যাপ্ত স্যানিটেশনের কারণে শিশুরা নানান সঙ্কটে পড়ছে। ফলে এসব অঞ্চলে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় সাত কোটি ৯ লাখ শিশু ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এশিয়ার শহরাঞ্চলের শিশুদের মধ্যে স্থূলকায় প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, খাবারের মানহীনতা এবং অস্বাস্থ্যকর প্রসেসড ফুডের কারণে এই স্থূলতার হার বাড়ছে। খাবারে চর্বি, চিনি এবং লবণ থাকলেও থাকছে না পর্যাপ্ত পুষ্টি। খরা, বন্যা এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে এশিয়ায় ক্রমশ সুপেয় পানির অভাব দেখা দিচ্ছে। কৃষি খাতে এর বিরূপ প্রভাবের ফলে খাদ্য নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদি হুমকির সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া এই অঞ্চলে এখনো স্যানিটেশন ব্যবস্থা পুরোমাত্রায় স্বাস্থ্যকর না হওয়ায় ডায়রিয়া এবং কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকানো যাচ্ছে না বলেও রিপোর্টে বলা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads