• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯

ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশ

ফের সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ নভেম্বর ২০১৮

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফের সংলাপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেন।

আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে কামাল হোসেনের স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌঁছে দেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের অফিস সহকারী আলাউদ্দিন ও বিএম মাসুদুল হাসান ওই চিঠি গ্রহণ করেন।

চিঠিতে বলা হয়, “দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আলোচনার পরও আমাদের আলোচনাটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেইদিন আপনি বলেছিলেন, আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অসম্পূর্ণ আলোচনা সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে অতি জরুরি ভিত্তিতে আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আবারও সংলাপে বসতে আগ্রহী।”

গত ১ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।  গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল ওই আলোচনায় অংশ নেয়।

গত শুক্রবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বাংলাদেশের খবরকে বলেন, প্রথম দফা সংলাপের ফলাফলে তারা সন্তুষ্ট নন। তাই দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসতে চায় বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। দ্বিতীয় দফা সংলাপে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে প্রতিনিধিদল করা হবে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফা সংলাপে ফ্রন্টের প্রতিনিধিদলে থাকবেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিনিধিদলে ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞদের টিম গঠন করা হতে পারে। চাইলে সরকার তাদের পক্ষের কোনো কোনো বিশেষজ্ঞকে রাখতে পারে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসার ইচ্ছার কথা জানা গেছে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ফ্রন্টের চিঠি থেকে।

অপরদিকে গতকাল এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ নভেম্বরের পর আর কোনো সংলাপ হবে না। তার এমন বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের শিডিউল পর্যালোচনা করে ৭ নভেম্বরের মধ্যে মাত্র একদিন সময় আছে। সেদিন ৬ নভেম্বর। এর আগের দিন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ রয়েছে ৫ নভেম্বর। আর ৭ নভেম্বর সংলাপ হবে গণতান্ত্রিক বাম জোটের সঙ্গে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads