• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ২২ কেজির বাঘাইড়

ছবি: বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশ

পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ২২ কেজির বাঘাইড়

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৯

পদ্মা-যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকায় জেলের জালে আটকা পড়তে শুরু করেছে বড় বড় মাছ। বুধবার দৌলতদিয়া ঘাটের কাছে ধরা পড়ে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি বিশাল বাঘাইড় মাছ। এর আগে গত রোববার ওই এলাকায় ধরা পড়ে ১৮ কেজি ওজনের বিশাল এক বোয়াল মাছ। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার (আজ) সকালে ২০ কেজি ওজনের আরো একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।

নদীর এ এলাকায় মাঝে মধ্যে বোয়াল, কাতলাসহ বাগাইড় জাতীয় মাছ ধরা পড়লেও বড় আকারের মাছ খুব কমই ধরা পড়ে। তবে মাঝে মধ্যে বড় আকৃতির মাছ ধরা পড়লে তা দেখতে ঘাট এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকার জেলে মদন হালদারের জালে এই বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অন্যান্যদের নিয়ে তিনি মাছ ধরতে পদ্মায় নেমে পড়েন। সারা রাত হাতে গোনা দুই-চারটি ইলিশ ও অন্য মাছ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছুই পাননি। ভোর পাঁচটার দিকে যখন জাল গোছানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এমন মুহূর্তে তার জালে বড় ধরনের ঝাঁকুনি লাগে। তাতেই তিনি টের পান জালে বড় কিছু একটা আটকা পড়েছে। ধীরে ধীরে জাল টেনে নৌকার কাছে আনলে ভোরের আলোয় দেখতে পান বড় একটি মাছ জালে আটকেছে। এসময় মাছটিকে নৌকায় তুলতে তার প্রায় এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। পরে সবাই মিলে মাছটিকে নৌকায় তুলে সোজা নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ঘাটে।

ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা জানান, বাঘাইড়টি আড়তদার নাটু মোল্লার আড়তে তোলা হলে আমি দরদাম করে ৮০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেই। পরে তিনি মাছটি ৯০০ টাকা কেজি দরে ১৯ হাজার ৮০০ টাকায় ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করি।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে অপর এক জেলের জালে ২০ কেজি ওজনের আরেকটি বাঘাইড় ধরা পড়ে। আমি সেটিকে ৮২০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এখন উপযুক্ত দাম পাবার আশায় অপেক্ষা করছি।

এত বড় সাইজের মাছ বিক্রির অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই ঘাট দিয়ে যাতায়াতকালে অনেক যাত্রী বড় মাছ দেখতে ভিড় করে। দুই/একজন সৌখিন যাত্রী দামও জিজ্ঞেস করেছে। কিন্তু কেনার সাহস দেখায় না। খুব কমই এখানে বিক্রি হয়। তবে আমাদের ঢাকায় অনেক পরিচিত বড় ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তাদের কাছে ম্যাসেঞ্জারে মাছের ছবিসহ যোগাযোগ করলে কেউ না কেউ কিনে নেন। পরে আমরাই মাছ যথাস্থানে পাঠিয়ে দেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads