• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আমতলীর বাতাস

নিহত মা নুপুর, তার মেয়ে লামিয়া ও ছেলে নিশাত

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

বাংলাদেশ

স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আমতলীর বাতাস

  • আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২০

বরগুনার আমতলী একে স্কুল চৌরাস্তায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নিহত মা নুপুর, তার ছেলে পুত্র নিশাত ও বোনের মেয়ে লামিয়া আক্তার নিহত হওয়ায় স্বজনদের বুকফাঁটা কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আমতলীর বাতাস।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নিহত নুপুর তার ছেলে নিশাত মেয়ে মমতা এবং বোনের মেয়ে লামিয়াকে নিয়ে উপজেলার গাজীপুর বন্দরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। শনিবার সকালে সেখান থেকে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশায়  একে স্কুল চৌরাস্তায় পৌছে। এ সময় পৌর শহরের টিএন্ডটি রোডে ভাড়া বাসায় যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে ফুটপাতে রিকসার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ কিছু বুঝে উঠার আগেই পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী মায়ের দোয়া নামের ঘাতক বাসটি ব্রেক ফেল করে তাদের চারজনসহ ২টি ব্যাটারী চালিত অটো গাড়ী, ১টি মাইক্রোবাস, ১টি মোটর সাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনা স্থলেই মা নুপুর বেগম, ছেলে নিশাত ও বোনের মেয়ে লামিয়া আক্তার নিহত হয়। এ দূর্ঘটনায় নিহত নুপুর বেগমের শিশু কন্যা মমতার হাত ভেঙ্গে গুরুত্ব আহত হয়। এছাড়া আরো চারজন পথচারী আহত হয়।

স্থাণীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে নিহতের স্বজনরা সেখানে ছুটে আসেন। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।  এ সময় নুপুরের মা আম্বিয়া বেগম বিলাপ করছিল আর বলছিল “মোর মায় নুপুর গ্যাছে কই, হ্যারে আইন্যা দেও”। “মোর নাতি নিশাত আর লামিয়া কই হেগো আইন্যা দেও”। এ কথাগুলো বলে আর বারবার মুর্ছা যাচ্ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads