• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কুমিল্লায় অনুমোদন ছাড়াই মানসিক চিকিৎসা!

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

বাংলাদেশ

কুমিল্লায় অনুমোদন ছাড়াই মানসিক চিকিৎসা!

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ ডিসেম্বর ২০২০

কুমিল্লায় অনুমোদন ছাড়াই একটি বাড়িতে চিকিৎসার নামে মানসিক রোগীদের আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় আটক রোগীদের স্ব-স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউপির মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কোনো সরকারি অনুমোদন ছাড়াই মানসিক চিকিৎসার নামে রোগীদের শারীরিক নির্যাতন করা,পুঁতি গন্ধময় পরিবেশে রোগীদের শিকল বেঁধে আটকে রাখা,তীব্র শীতের মধ্যেও রোগীদের শিকল পরিহিত অবস্থায় পুকুরে নেমে গোসল করতে বাধ্য করানোসহ নানা রোমহর্ষক অভিযোগ করে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী।

অভিযানের সময় প্রতিটি অভিযোগের সত্যতা মিলে।এসময় সুস্থ রোগীকেও অসুস্থ হিসেবে আটক অতি নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ, অননুমোদিত ওষুধ রাখা ও অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠান চালানোর দায়ে বাড়ির মালিককে অভিযুক্ত করা হয়।

আদালত বাড়ির মালিককে বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও রোগীদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাদের স্ব-স্ব অভিভাবকগণের কাছে পৌঁছে দেয়াসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ না করার মুচলেকা আদায় করেন। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। এ সময় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা সিভিল সার্জনঅফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমেন রায়।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান জানান, আমরা দুষ্ট লোকদের আইনের আওতায় এনেছি এটা সত্য। তারপরও বলব এখন আধুনিক যুগ। চাইলে একজনমানুষ খুব সহজে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের খবর নিতে পারেন। এ যুগে এসে একজন অভিভাবকের এ ধরনের ভুল করা দু:খজনক। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। আপনি যদি রোগী ভর্তি না করান, তারা রোগী পাবে কোথায়?

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads