বান্দরবানের লামা উপজেলার একমাত্র মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজে ধীর গতি আর অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। শর্ট পিলার নির্মাণেই সীমাবদ্ধ দুই বছর পার হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মসজিদ বা কোর্ট মসজিদ নামে খ্যাত নতুন মসজিদ নির্মাণের লক্ষে আগের মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলায় নামাজ পড়া নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিয়মিত হাজারো মুসল্লিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে অস্থায়ী মসজিদ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে লামা উপজেলা প্রশাসনের অফির্সাস ক্লাবের লাইব্রেরী। কিন্তু কক্ষটি ছোট হওয়ায় নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের ভোগান্তি চরমে।
অন্যদিকে নতুন মডেল মসজিদের কাজ পরিদর্শনে দেখা যায় দুই বছরেও ভবনটি এখনো মাটির সাথে কথা বলছে। শর্ট পিলারগুলো নির্মাণের পর থেকে এখনো কাজ বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
মুসল্লিরা জানায়, খুব ঝাকঝমকপূর্ণভাবে শুরু করেছিল মডেল মসজিদের নির্মাণকাজটি। কিন্তু প্রায় দুই বছর আগে কি এক অদৃশ্য কারনে শর্ট পিলার নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ বন্ধ করে দেয় নির্মাণকাজ। তারা জানে না কি কারনে বন্ধ হয়েছে এমনকি এর জবাব মিলছেনা কোন দপ্তরেও।
প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট এই কমপ্লেক্সের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করার সরকারি ঘোষণা থাকলেও ২০২১ সালেও সীমাবদ্ধ থেকে গেছে শর্ট পিলারের নির্মাণের মধ্যে। অর্থাৎ ২০১৯ সালে যে শর্ট পিলারগুলো নির্মাণ করে কাজ বন্ধ করা হয়েছিল তারপর থেকে এখনো শুরু হয়নি কাজটি।
এ ব্যাপারে লামা মডেল মসজিদের ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন বলেন দীর্ঘদিন সরকারী ফান্ড না পাওয়ায় কাজ করতে পারিনি। সরকার এখন ফান্ড দিচ্ছে আস্তে আস্তে আমরাও কাজ চালিয়ে যাচ্ছি ধীরগতিতে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজা রশিদ জানান, এটা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাজ তারা ভাল জানবে।