• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
প্রচণ্ড তাপদাহে তাল শাঁসের চাহিদা বেড়েছে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশ

প্রচণ্ড তাপদাহে তাল শাঁসের চাহিদা বেড়েছে

  • ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৫ জুন ২০২২

কবিতার ভাষায় ‘ঐ দেখা যায় তাল গাছ, ঐ আমাদের গাঁ, ঐ খানেতে বাস করে কানা বগির ছা। গাঁয়ে এখন বকের ছানা দেখা না গেলেও তালগাছগুলোতে কিন্তু কচি তালে ভরে গেছে। গ্রামগঞ্জ হয়ে তাল এখন শহরের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে ও অলিগলিতেও মেলে। তাল শাঁস খাওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। মধুমাসে মৌসুমি অনেক ফল রাসায়নিকের বিষে নীল হলেও তালের শাঁসে তার ছোঁয়া লাগেনি এখনো।

তীব্র তাপদাহে তাল শাঁসের চাহিদা বাড়ছে প্রতিদিন। প্রতি পিচ শাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫-৭ টাকায়। আর আস্ত ১টি তাল বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি পেতে কাঁচা তালের কোনো জুড়ি নেই। তালের শাঁস খাওয়ার জন্য ছোট থেকে বৃদ্ধ বয়সীরাও তালের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। কেউ কেউ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য।

রোববার বিকালে সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পৌর শহর, গোবিন্দাসী হাট, মাটিকাটা বাজার, পাথাইলকান্দি বাজার, নিকরাইল বাজার, বঙ্গবন্ধু সেতু রেলস্টেশনসহ প্রতিটি অলিগলিতে কাঁচা তালের শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজের সামনে ও সড়কের বিভিন্ন জায়গায় এ তালের শাঁস বিক্রির চিত্র দেখা যায়।

গোবিন্দাসী বাজারের কাঁচা তাল বিক্রেতা মো. জয়নাল হোসেন বলেন, প্রতি বছর মধুমাস উপলক্ষে তাল শাঁস বিক্রি করে আমাদের সংসার করে। আমরা গ্রামের তালগাছগুলো আগেই কিনে রাখি। মৌসুম এলেই গাছ থেকে সংগ্রহ করে হাট-বাজারে বিক্রি করি। এতে করে আমরা মৌসুমী ব্যবসায়ী অনেক লাভবান হয়ে থাকি।

স্কুলের শিক্ষার্থী বলেন- ‘বর্তমান সময়টা মধুমাস। বিভিন্ন ফলে ভরপুর। তরমুজ, আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম ও জামরু ইত্যাদি ফলের চাহিদা থাকলেও বিশেষ নজর তালের শাঁসে। গরমে তালের শাঁস খেতে যেমন স্বসাদু তেমনি তৃষ্ণাও মেটে।’

তালের শাঁস ক্রেতা কামাল হোসেন ও ফরমান শেখ বলেন- ‘কাঁচা তালের শাঁস গরমে অনেক স্বস্তিদায়ক। তালের শাঁস খেলে গরমের তীব্রতাও কমে যায়। তাই প্রতিদিন কমবেশী তালের শাঁস খাওয়া হয়

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. সৈয়দ সরোয়ার সাদী রাজু বলেন, ‘তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ মানবদেহের পানি শূন্যতা দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি.এ.বি কমপ্লেক্সসহ নানা ধরণের উপাদান রয়েছে। তালে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। লিভার ভাল রাখে। এছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবির বলেন, তাল শাঁস খুবই উপকারী ফসল। বিশেষ করে পেটের কোষ্টকাঠিন্য দূর করে। এতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি-সহ অন্যান্য উপাদানও রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়াও তালগাছ বজ্র নিরোধক হিসেও কাজ করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads