• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ

দিগন্ত জুড়ে পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে প্রস্তত কৃষকরা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০২২

কাহালু( বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
দিগন্ত জুড়ে পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে শ্রমিকের  অপেক্ষায় কৃষকরা। বগুড়ার কাহালুতে আমন ধানের  সোনালী শীষে শোভা পাচ্ছে আমন ধানের বিস্তৃর্ন মাঠ।আগামী দেড় সপ্তাহর মধ্য পাকা  আমন ধান  কাটা মাড়াই শুরু হবে বলে জানান কৃষকরা। তবে আমন ধান ঘরে তুলতে এবার শ্রমিক সংকট খুব একটা  নেই। কাজের সন্ধ্যানে ঘুরছে শ্রমিকরা। আসন্ন রবি শস্য মৌসুমে আলু, সরিষা চাষ করতে এরই মধ্যে আগাম জাতের আমন ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা। বিঘা প্রতি ধানের ফলন ১৮-২০ মণ হলেও কৃষকের মুখে নেই হাসি। বাজারে উৎপাদিত ধানের মূল্য কম হওয়ায় আসন্ন রবি শস্য চাষে উৎপাদন  ব্যয় মিটাতে হিমশিম খেতে হবে বলে জানান অনেক কৃষক। গত সোমবার  উত্তরান্চলের সর্ব বৃহৎ পাইকারি ধানের হাট কাহালুর বিবিরপুকুর হাটে দেখা গেছে নতুন  রন্জিত ধান প্রতি মণ ১৩০০-১৩৫০ টাকা, কাটারি ভোগ ধান প্রতি মণ ১৭০০ টাকা দরে বিক্রি করছে কৃষকরা। ধানের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান বাজারে দরে সন্তোষ্ট নয় কৃষকরা। হাটে ধানের আমদানি কিছুটা  কম হলেও ভরা মৌসুমে  ধানের আমদানি আরো  বৃদ্ধি পাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।  তবে চাতাল ব্যবসায়ীরা এখনি ধান না কিনলেও এক শ্রেণির ফড়িয়ারা হাট বাজারে নতুন ধান  কিনছেন। এদিকে স্থানীয় কৃষি অফিস চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের আশা করলেও আমন  ধানে এবার কিছুটা রোগ বালাই ও পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় উদপাদনের  লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। ধান ক্ষেতে কারেন ও  মাঝরা পোকা সহ এল বি এল রোগ দেখা দেওয়ায়  ধান গাছের পাতা হলুদ হয়ে শুকিয়ে মরে যাওয়া ও  ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অনেক ধান গাছ জমিতে ন্যুয়ে পড়ায়  চলতি আমন মৌসুমে  কাংখিত ফলন না হবার আশংকাও করছেন কৃষকরা। ধানের রোগ বালাই পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুফল পায়নি অনেক কৃষক।  এছাড়া অধিক  ফলনের  আশায় ধান গাছে ভিটামিন জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করেছেন কৃষকরা । এদিকে ধান ক্ষেতে পোকা মাকড় দমনে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন বলে স্থানীয় উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায়  এবার ১৮,২৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল উফসি  ও ২৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসার মোঃ ময়নুল হক সরকার জানান, আমন মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারনে ধানের চারা রোপণ কিছুটা বিলম্ব হলেও পরবর্তী বৃষ্টিতে আমন আবাদ ভালো হয়েছে। আশা করছি  এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। কাহালু সদর ইউনিয়নের বুড়ইল গ্রামের কৃষক মোঃ আবুল কাশেম জানান, আমন ধানের চারা রোপণ কালে  জমিতে অপর্যাপ্ত পানি থাকায় ও কৃষকদের মাঝে সার সরবরাহ ব্যহত হওয়ায় আমন চারা প্রথমদিকে খুব একটা বেড়ে না  উঠেলেও পরবর্তীতে কাংখিত  বৃষ্টিতে ধানের চারা দ্রুত বেড়ে উঠে। তবে  আমন ধানের এবার পাকা মাকড়ের আক্রমন  দেখা দেওয়ায় কাংখিত ফলন নাও হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads