• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
বর্ষার আগে ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ

বর্ষার আগে ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

বর্ষার আগে ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ

  • রাঙামাটি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৮

বর্ষার আগে ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। আসছে বর্ষায় আবারো সড়কধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রাঙামাটিবাসীর মধ্যে। গত বছরের ভয়াবহ পাহাড়ধসের পর প্রায় ১ বছর পূর্ণ হতে চলেছে কিন্তু স্থায়ী মেরামত কাজ এখনো হাতে নেয়নি সরকার। কেবল ফাইল চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়ের কাজ। অথচ জুনের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের ১২৮টি স্থানে স্থায়ী মেরামত ও পুনর্নির্মাণ কাজ করতে ব্যাপক ‘দৌড়ঝাঁপ’ করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দফতরটি গত ১৬ এপ্রিল ১৭০ কোটি টাকার ডিপিপি সাবমিট করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় না পাওয়ায় কাজে হাত দিতে পারছে না। চলতি অর্থবছরে বিশেষ করে জুনের আগে অর্থ বরাদ্দের সম্ভাবনা নেই বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন।

গত বছরের ১৩ জুন পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে রাঙামাটিতে। এতে ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জন প্রাণ হারান। আহত হয় অনেকেই। পাহাড়ধসের ১ বছর পূর্ণ হতে চলেছে কিন্তু দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাঙামাটি-চট্টগ্রামসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো এখনো বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে আবারো সড়কধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, গত ১৬ এপ্রিল ১৭০ কোটি টাকার ডিপিপি সাবমিট করেছি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে। ওখানে ১২৮টি পয়েন্টে ৪ হাজার সাতশ’ পঁচিশ মিটার পাইলস রিটেইনিং ওয়াল এবং স্লোপ প্রটেকশন নির্মাণ ও কিছু সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাব রয়েছে। পাহাড় ও সড়কধসের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বড় আকারের টেকসই পরিকল্পনা নিতে চায়। স্থায়ী নির্মাণকাজের জন্য বড় আকারের প্রকল্প হাতে নিলে যাচাই-বাছাইয়ে আরো সময় লাগবে। তাই আসছে বর্ষার আগে কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শুষ্ক মৌসুমে সড়কে স্থায়ী নির্মাণকাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads