• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
‘সড়কে সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে’

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া

সংরক্ষিত ছবি

যোগাযোগ

‘সড়কে সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ অক্টোবর ২০১৮

জনসাধারণের ‘আইন না মানার’ প্রবণতার কারণে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘পুলিশের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও আইন না মানার প্রবণতায় সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে।’ গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

আছাদুজ্জামান বলেন, ‘সড়কের বিশৃঙ্খলতা দূর করতে আন্দোলন করেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে আমরা প্রথমে ১০ দিনব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছিলাম। এখন সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে ট্রাফিক কর্মসূচি পালন করা হয়।’ এ কাজে সহযোগিতার জন্য রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি। সরকারের অন্যান্য সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর দফতর, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশন এ নিয়ে কাজ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পুলিশ কমিশনার জানান, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় গত এক মাসে প্রায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অনেক গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মামলা ও জরিমানা করা শেষ কথা নয়। আমরা ট্রাফিক আইন মানার জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকা শহরে ১৩০টি বাস স্টপেজে ‘বাস স্টপেজ শুরু’ ও ‘বাস স্টপেজ শেষ’ লেখা সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।’

এক মাসে পরিস্থিতি রাতারাতি বদলে না গেলেও আগের চেয়ে ‘কিছুটা শৃঙ্খলা’ ফিরে এসেছে এবং হেলমেট ব্যবহারসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে ‘সাফল্য এসেছে’ বলে দাবি করেন আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘শত বছরের অভ্যাস বা অনিয়ম এক মাসে পরিবর্তন হবে- এটা আশা করা যায় না। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, আইন না মানার মানসিকতা। মানুষকে জোর করেও আইন মানতে বাধ্য করা যাচ্ছে না। এটা কেন? বিদেশে যখন যাই, আমরা আইন মানি। তাহলে ঢাকার সড়কে বেরিয়ে আমরা আইন মানি না কেন? তবে আমরা আশাবাদী, সবাই সচেতন হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।’ সবার মধ্যে আইন মানার মানসিকতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব না বলেও মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার।

চালকদের নিয়ে অনেকবার সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যাপক উন্নতি হয়নি। এখনো যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী নেওয়ার প্রবণতা রয়ে গেছে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সমাজে যারা দায়িত্বশীল আছেন, শ্রমিক ও মালিক সংগঠন আছে, তাদের বলব, আপনারা আইন মানার সংস্কৃতি চালু করেন। নিজেরা আইন মানেন অন্যদের আইন মানতে উৎসাহিত করেন। তাহলেই পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফুটপাথ বেদখল হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেব। লেগুনা কোন রুটে চলবে, কোন রুটে চলবে না, এটি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। কারণ, সবার ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।’ সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে গণপরিবহনের যাত্রীদের মধ্যে ফুল ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads