• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
দ্বিতীয় ধাপে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন

দ্বিতীয় ধাপে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ মে ২০১৯

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্পে আরো ৪০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংস্থাটির ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনওয়ার আহমেদ ও এডিবির পক্ষে সংস্থার ঢাকা আবাসিক অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনোমোহন প্রকাশ চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ইআরডি ও এডিবি ঢাকা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০৭ সাল থেকে চলে আসা রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি। ১৫০ কোটি ডলার সহায়তার মধ্যে এডিবি ইতোমধ্যে ৩০ কোটি ডলার ছাড় করেছে। গতকালের চুক্তির ফলে প্রকল্পটিতে মোট ছাড় হচ্ছে ৭০ কোটি ডলার। এ অর্থ ছাড় হলে প্রকল্পের আওতায় ১২০ কিলোমিটার রেলপথের ২৭ শতাংশের কাজ শেষ হবে। তৃতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার ও শেষ পর্বে ৩০ কোটি ডলার দেবে এডিবি।

অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, এডিবি বাংলাদেশের রেল খাতের উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রেল যোগাযোগ তুলনামূলক নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। এ প্রকল্পটি সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অগ্রাধিকারে রয়েছে। এর কাজ শেষ হলে কক্সবাজার এলাকায় রেলের মাধ্যমে বিনিয়োগ, পর্যটন ও বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। প্রকল্পটি বয়স্ক, নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের সেবা দিতে বিশেষ সহায়ক হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, সরকারের ১০ অগ্রাধিকার তথা ফাস্ট ট্র্যাকের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রকল্পটি। এর কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এর মাধ্যমে বছরে ২৯ লাখ যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যাতায়াত করতে পারবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ ট্রান্স এশিয়ান রেললাইনের মধ্যে রয়েছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবিত এ রেললাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।

এডিবি সূত্র জানায়, আগামী ২৫ বছরে এ ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে রেয়াতকাল থাকবে পাঁচ বছর। ইউরিবোরের সঙ্গে দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া অবিতরণ করা ঋণের জন্য কমিটমেন্ট চার্জ দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রকল্পের আওতায় এডিবির অর্থায়নে পূর্তকাজ, মালামাল ও সেবাদি সংগ্রহের জন্য এডিবির ক্রয় নীতিমালা এবং পরামর্শক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads