• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
এ বছরই তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

এ বছরই তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ জুন ২০১৯

চলতি বছরের শেষের দিকেই ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি মেঘনা নদীর ওপর দিয়ে এ সেতু নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ। বাঞ্ছারামপুর আসনের সংসদ সদস্য ক্যা.(অব.) এবি তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মেঘনা নদীর ওপর দুই হাজার ৭৫০ মিটার দৈর্ঘের তৃতীয় (আর-২০৩) সেতু নির্মাণ কাজে সাত হাজার ১৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে সেতু বিভাগ নিশ্চিত করেছে। এরই মধ্যে সেতুর অর্ন্তবর্তীকালীন ও প্রাথমিক টেকনিক্যাল প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা কার্যক্রম ও চূড়ান্ত প্রযুক্তিগত নকশা প্রস্তুত প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরের শেষের দিকে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্নিষ্টরা।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দুই পাড়ের জনসাধারণসহ হোমনা, নবীনগর, তিতাস ও আড়াইহাজার উপজেলার জনগন মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতু কর্তৃপক্ষ মেঘনা নদীর ওপর পৌনে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করতে যাচ্ছে। সেতুটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রান্তে কড়িকান্দি এবং ঢাকার প্রান্তে থাকছে আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী-বিশনন্দী।

ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে (আর-২০৩) মেঘনা নদীর ওপর প্রস্তাবিত সেতু নির্মিত হলে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সার্বিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন ঘটবে। এতে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট রুটের বিকল্প হিসেবে এ রুট ব্যবহার করা যাবে এবং এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতের আগরতলা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করা সক্ষম হবে। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব কমে যাবে। এ ছাড়া এটি হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিকল্প রুট। এর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম এবং সিলেটের পণ্য ও যাত্রী পরিবহন সহজ হবে। এ ছাড়া গাজীপুরের টঙ্গীর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যান চলাচলের সময় কমবে। দূরত্ব কমবে ঢাকা থেকে কুমিল্লার তিতাস এবং হোমনা উপজেলার।

সাংসদ ক্যা. এবি তাজুল ইসলাম বলেন, মেঘনার ওপর সেতু নির্মিত হলে কয়েকটি জেলার সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব হ্রাসের পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিকল্প পথ তৈরি হবে। তৃতীয় এ মেঘনা সেতু বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে এবং উন্মোচিত হবে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীরা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন এবং যানজট অনেকাংশে কমে আসবে। পর্যটকদের জন্য মেঘনার তীরে নান্দনিক সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফলে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি বড় ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads