• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
নতুন সড়ক আইন প্রয়োগ শুরু

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

নতুন সড়ক আইন প্রয়োগ শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯

নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রয়োগ শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। প্রাথমিকভাবে ডিএমপি ট্রাফিকের ৪টি বিভাগ সীমিত পরিসরে এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। শিগগিরই পুরোদমে শুরু করা হবে।

ডিএমপির ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, সহকারী কমিশনার (এসি) ও সার্জেন্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানান, ডিএমপি ট্রাফিকের ৪ বিভাগে কয়েকটি উপ-বিভাগের এসিদের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়েছে। যারা নিজস্ব এলাকার বিভিন্ন স্পটে ঘুরে আইন প্রয়োগ করছে। এসি ছাড়াও দলে কয়েকজন সার্জেন্ট, এএসআই ও কনস্টেবল  রয়েছেন। নির্ধারিত ছাপানো ফর্মে বর্তমানে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

ফর্মে ঘটনার তারিখ, ঘটনাস্থলের ঠিকানা, অভিযুক্তের নাম, পরিচয়, মোবাইল নম্বর লেখা হচ্ছে। পাশাপাশি একজন সাক্ষীর নাম, পরিচয়ও লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কী অপরাধে, কত জরিমানা করা হচ্ছে তা উল্লেখ করা হচ্ছে। ফর্মের নিচে অভিযুক্তের ও অভিযোগকারীর স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, খুব সাবধানতার সঙ্গে নতুন আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। পজ মেশিনগুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে পূর্ণাঙ্গভাবে মামলা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। নতুন আইনে বেশির ভাগ ধারার জরিমানা ১০ থেকে ৫০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। আগে যেসব ধারায় এক মাস কারাদণ্ডের বিধান ছিল, এখন তা ২ বছর পর্যন্ত হয়েছে। আইনের বেশির ভাগ ধারাতেই সর্বোচ্চ শাস্তি কত হবে তা আছে, সর্ব নিম্ন শাস্তির উল্লেখ নেই।

১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার নতুন বাজার ভাটারা এলাকায় অর্থদণ্ড দেওয়া হয় একজন মোটরসাইকেল চালককে। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় তার ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  একই অপরাধ আবার করলে জরিমানার পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা। এ মোটরসাইকেলের চালক মেহেদী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিআরটি লাইসেন্স দিতে দেরি করছে, সেটা কেন দেখা হচ্ছে না?

একই দিন বিকাল ৫টার দিকে দরজা খুলে বাস চালানোর অপরাধে বনানী-কাকলী এলাকায় একটি বড় বাসকে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। একই অপরাধ আবার করলে ওই বাস চালকের অর্থদণ্ড হবে ৬ হাজার টাকা। ৩০ নভেম্বর থেকেই নতুন আইনে পুলিশ মামলা দেওয়া শুরু করে। ট্রাফিক কর্মকর্তাদের ভাষ্য, প্রথমে আইন লঙ্ঘনকারীর ভিডিও চিত্র ধারণ করা হচ্ছে। এরপর তাকে থামিয়ে আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি জানানো হচ্ছে। তিনি কীভাবে আইন লঙ্ঘন করেছেন, তা বলা হচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দেওয়া হচ্ছে যাতে ট্রাফিক পুলিশকে মানুষ ভুল না বোঝে।

ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. মনজুর মোর্শেদ জানান, বিজয় সরণি মোড়ে প্রথম দিন ৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। উল্টো পথে চলাচল করেছে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এমন মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও পিকআপকে এ মামলা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ১ নভেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর করার ঘোষণা দেন। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে এ নিয়ে প্রবল আপত্তি ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে পুলিশ এতদিন আইন লঙ্ঘনকারীদের মামলা না দিয়ে নতুন আইন সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার  কার্যক্রম চালায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads