মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থানে আজ বুধবার দুপুরে পদ্মা সেতুর ১৯তম স্প্যান বসানো হয়েছে। দুপুর দেড়টার দিকে সেতুর ২১ ও ২২ নম্বর পিলারের উপর ‘ফোর-সি’ নামে এ স্প্যানটি বসানো হয়। এরই মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর দুই হাজার ৮৫০ মিটার বা প্রায় তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাওয়া কন্সট্রাক্টশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান নিয়ে সেতুর নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই।
১৮তম স্প্যান বসানোর মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে পদ্মা সেতুর ১৯তম এ স্প্যান বসানোর সত্যতা নিশ্চিত করে পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ‘ফোর-সি’ স্প্যান নিয়ে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায়। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কর্মযজ্ঞ শুরু করে। দীর্ঘ তিন ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
প্রকৌশলীরা জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪১০টি রেল স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭ টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এর মধ্যে ১৯টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে। তাছাড়া সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে।