• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
পদ্মা সেতুর তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান বসানো হয়েছে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

বসলো ২০তম স্প্যান

পদ্মা সেতুর তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান বসানো হয়েছে। দুপুর  ১টার দিকে সেতুর ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের উপর ‘৩এফ’ নামে এ স্প্যানটি বসানো হয়। এরই মধ্য দিয়ে সেতুর তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এ নিয়ে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সেতুর মোট তিনটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ২০১৯ সালে সেতুর মোট ১৩ টি স্প্যান বসানো সম্পূর্ণ হয় ।

 এর আগে, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান নিয়ে সেতুর নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই।

১৯তম স্প্যান বসানোর মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে পদ্মা সেতুর ২০তম এ স্প্যান বসানোর সত্যতা নিশ্চিত করে পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ‘৩এফ’ স্প্যান নিয়ে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায়। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কর্মযজ্ঞ শুরু করে। দীর্ঘ তিন ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে দুপুর  ১টার দিকে স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৫.৫০ ভাগ, নদী শাসন কাজের অগ্রগতি ৬৬ ভাগ ও সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৫.৫০ ভাগ। অন্যদিকে, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজের অগ্রগতি শতভাগ বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান আব্দুল কাদের।

তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জিং কোনো কাজ আর বাকী নেই। সব কাজ সিডিউল অনুযায়ী চলছে। এভাবে কাজ চলতে থাকলে মূল সেতুর কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের ৩০ জুন।

এদিকে, মূল সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৮১.৬০ ভাগ। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা এবং ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৭৫১ দশমিক ১৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে, নদী শাসন কাজের আর্থিক অগ্রগতি ৫২.৪৭ ভাগ। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকা ও এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৯ দশমিক ৪ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার শতভাগ কাজের জন্য মোট ১ হাজার ৪৯৯ দশমিক ৫১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

অন্যদিকে, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশের জন্য ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৩৪২ দশমিক ২৬ কোটি টাকা এবং প্যানেল অব এক্সপার্ট, পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট ও আয়কর, যানবাহন, বেতন ও ভাতাদি ও অন্যান্য খাতে মোট ব্যয় ৩ হাজার ৫১০ দশমিক ৪২ কোটি টাকা।

 প্রকল্পের মোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা যার মধ্যে ২১ হাজার ৩১৭ দশমিক ১১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads